পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শৰ্ম্মিষ্ঠা ও পদ্মাবতী রচনা । 之8分 স্বীকৃত হন। জুনে তঁহাকে সাম্রাজ্য, প্যালাল তাঁহাকে সংগ্রামে বিজয়লক্ষ্মী, এবং ভিনস তাহাকে সর্বোত্তম সুন্দরী প্ৰদান করিতে প্ৰতিশ্রত হন । পারিস সর্বাপেক্ষা সুন্দরী বোধে ভিনসকেই সুবৰ্ণ আপিল প্ৰদান করেন । অপরা দেবীদ্বয়, ইহাতে ঈর্ষায় ও অভিমানে,পারিসের সর্বনাশের জন্য প্ৰতিজ্ঞাবদ্ধ হন । ইহাই সুপ্ৰসিদ্ধ ট্ৰয়নগর ধ্বংসের কারণ। মধু সুদন, এই গ্ৰীক উপাখ্যান অবলম্বন করিয়া, তাহার পদ্মাবতী রচনা করিয়াছিলেন। গ্ৰীক কবির ন্যায় তিনিও তাহার গ্ৰন্থ দেব ও মানব অভিনেতার কাৰ্য্যে পুর্ণ করিয়াছেন। গ্রীক কাব্যেও যেমন, পদ্মাবতীতেও তেমনই, মানব অভিনেতাগণ দেব-অভিনেতাগণের হন্তে ক্রীড়াপুত্তলির ন্যায় পরিচালিত হইয়াছেন। পদ্মাবতী ' নাটকের শচী, রতিদেবী, নারদ, রাজা ইন্দ্ৰনীল, এবং বাজকুমারী পদ্মাবতী, যথাক্রমে, গ্ৰীক পুবাণের জুনো, ভিনস, ডিসকবৃডিয়া, পারিস এবং হেলেনের আদর্শে কল্পিত হইয়াছেন। পার্থক্যের মধ্যে এই যে, গ্ৰীক কাব্যের জ্ঞান ও বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী, প্যালাসের পরিবর্তে মধুসুদন পদ্মাবতী নাটকে যক্ষরাজমহিষী মুরজা দেবীর অবতারণা করিয়াছেন । জ্ঞান ও বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবীকে সামান্য সৌন্দৰ্য্যাভিমানিনী রমণীর ন্যায় । বিবাদপরায়ণ না করিয়া মধুসূদন গ্ৰীক কবির অপেক্ষা বরং সুরুচির পরিচয় দিয়াছেন। স্ত্রীজাতি, বিদ্যাবতী ও বুদ্ধিমতী হইলেও সৌন্দৰ্য্যাভিমানিনী, এই বলিয়া অনেকে গ্ৰীক কবিকে সমর্থন করিতে পারেন ; কিন্তু স্ত্ৰীজাতির প্রতি অশ্রদ্ধা এবং অবজ্ঞা হইতে যে এরূপ সৎস্কারের উৎপত্তি, তাহা তাহারা অনুধাবন করেন না । সামান্য রমণীর পক্ষে যাহা সম্ভবপর, জ্ঞান ও বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবীর পক্ষে কখনই তাহা সঙ্গত নহে। পদ্মাবতীর আখ্যায়িকাটী যদিও গ্রীক পুরাণ হইতে পরিগৃহীত, তথাপি মধুসুদন তাহাকে এরূপ হিন্দু আকার দান করিয়া