পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

总敬b” डयन-प्रब्रिह । নাই।” মহারাজা শুনিয়া বলিলেন, “বাঙ্গালী ভাষার ষেরূপ ਕਲ, তাহাতে যে ইহাতে, কোন দিন, অমিত্ৰচ্ছন্দ প্ৰবৰ্ত্তিত হইবে, তাহার সম্ভাবনা অতি অল্প।” মধুসুদন বলিলেন ; “আমি তাহা মনে করি না। চেষ্টা করিলে আমাদিগের ভাষাতেও অমিত্ৰচ্ছন্দ প্ৰবৰ্ত্তিত হইতে পারে।” মহারাজা বলিলেন, “বাঙ্গালা ভাষার গঠন বিবেচনায় ইহাতে অমিত্রছন্দ প্ৰবৰ্ত্তিত হওয়া কোন মতেই সম্ভবপর নহে। ফরাসী ভাষা, আমাদিগের ভাষা অপেক্ষা অধিকতর উন্নত, কিন্তু আমি যতদূর অবগত আছি, তাহাতে ইহাতেও অমিত্রচ্ছন্দে রচিত কোন কাব্য নাই।” মধুসুদন বলিলেন ; “সত্য ; কিন্তু আপনাকে স্মরণ রাখিতে হইবে যে, বাঙ্গালা ভাষা সংস্কৃত ভাষার দুহিতা ; এরূপ জননীর সন্তানেব পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়।” মধুসূদনের এবং মহারাজার মধ্যে কিয়ৎক্ষণ এইরূপ বাদানুবাদের পর মধুসুদন বলিলেনঃ “আমাদিগের ভাষায় অমিত্ৰচ্ছন্দ প্ৰবৰ্ত্তিত হইতে পারে কি না, আমি আপনাকে তাহাব প্ৰত্যক্ষ প্ৰমাণ দেখাইতে প্ৰস্তুত আছি । যদি আমি স্বয়ং অমিত্ৰচ্ছন্দে কোন গ্ৰন্থ রচনা করিয়া আপনাকে দেখাই, তাহা হইলে আপনি কি করিবেন ?” অপর কেহ সে অবস্থায় এরূপ কথা বলিলে হয়ত উপহাসাম্পদ হইতেন ; কিন্তু মধুসূদনের শক্তি সম্বন্ধে তখন আর কাহারও অবিশ্বাস ছিল না । মহারাজা যতীন্দ্রমোহন, মধুসূদনের কথা শুনিয়া, বলিলেন ; “ভাল, আমি তাহা হইলে পরাজয় স্বীকার করিব এবং আপনার অমিত্ৰচ্ছন্দে রচিত গ্ৰন্থ মুদ্রাঙ্কনের সমস্ত ব্যয় প্ৰদান করিব।” আপাততঃ তুচ্ছ ঘটনা হইতে কত সময় যে কত মহৎ কাৰ্য্য সম্পাদিত হয়, উপরি উক্ত ঘটনা তাহার একটি উৎকৃষ্ট প্ৰমাণস্থল। তঁহাদিগের সেই কথোপকথনেয়। ফলে, বাঙ্গালী ভাষার পদ্যে যে, ভবিষ্যতে, কিরূপ পরিবর্তন ঘটবে, মহারাজা যতীন্দ্রমোহন বা মধুসুদন, কেহই তখন তাহা কল্পনা করিতে পারেন। খাই। কিন্তু সেই হইতে বাঙ্গালাভাষায় একটি সম্পূর্ণ নুজুন ছন্দ এবিস্থিত