পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 9О জীবন চরিত । , সুন্দনের জীবনের যে কি আনন্দের দিন তাহা বৰ্ণন করা নিম্প্রয়োজন । সহৃদয় ব্যক্তি মাত্ৰই মধুসূদনের আনন্দে আনন্দিত হইলেন। ডাক্তার মিত্ৰ মহোদয়ের সম্পাদিত বিবিধার্থসংগ্ৰহ তখনকার শিক্ষিত সমাজের অন্যতম মুখপাত্র ছিল। তিলোত্তমার প্রথম ও দ্বিতীয় সর্গ তাহাতে প্ৰকাশিত হইল। বাবু রাজনারায়ণ বসু প্ৰভৃতি অনেক সুপণ্ডিত ব্যক্তি, তাহা পাঠ করিয়া, গ্ৰন্থকারকে প্রচুর ধন্যবাদ প্ৰদান করিলেন। কাব্যের অবশিষ্টাংশ সম্পূর্ণ হইলে মহারাজা যতীন্দ্রমোহন, আনন্দের সহিত, তাহার মুদ্রাঙ্কনের প্রতিশ্রুত ব্যয় প্ৰদান করিলেন। ১৮৬০ খৃষ্টাবেদবি মে মাসে তিলোত্তম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হইল । যে দেশে কোন গুণবান। পুরুষ জন্মগ্রহণ করেন, সে দেশ সৌভাগ্যবান; কিন্তু যে দেশে গুণবানের সমকালে তাহার গুণের সমােদর করিবার উপযুক্ত ব্যক্তিগণ বর্তমান থাকেন, সে দেশ আরও অধিক সৌভাগ্যবান। পতিত বঙ্গভূমির বড়ই সৌভাগ্য যে, তাহার সর্বশ্রেষ্ঠ কবিগণ যে সময়ে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, সে সময় তাহাদিগের গুণের সমাদর করিবার উপযুক্ত ব্যক্তির একান্ত অভাব হয় নাই। বঙ্গের আদি কবি বিদ্যাপতি হইতে মধুসুদন পর্যন্ত প্ৰত্যেকেরই জীবনে এ কথা সপ্ৰমাণ হইতে পারে। বিদ্যাপতি রাজা শিবসিংহের, মুকুন্দরাম রাজা রঘুনাথ দেবের এবং ভারতচন্দ্র রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের, সমাদর প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । বিদ্যাপতির, মুকুন্দরামের এবং ভারতচন্দ্রের নামের সঙ্গে তাহাদিগের উপজীব্য মহাত্মাগণের নাম যেমন জড়িত আছে, মধুসূদনের নামের সঙ্গে রাজা প্ৰতাপচন্দ্র, রাজা ঈশ্বরচন্দ্র এবং মহারাজা যতীন্দ্রমোহনের নামও তেমনই জড়িত থাকা সঙ্গত। সামান্য অর্থসাহায্যের জন্য নয়, মধুসূদনের প্রতিভা বুৰিয়া, তাহারা যে তাহার সমাদর করিতে পারিয়াছিলেন, সেই জন্যই আঁর্তাহাদিগের প্রশংসা । রত্ন ও কাঞ্চন পরস্পর মিলিত হইলে উভয়েরই সৌন্দৰ্য্য বৰ্দ্ধিত হয় ; গুণবানের সহিত গুণগ্ৰাহী পুরুষের