পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टिgलखभानgब-कदा । RS এবং মাতলি সারথি, সংজ্ঞাপূন্যের ন্যায়, রথের রশ্মি ছাড়িয়া দিলেন। দেবযানের আচঞ্চল পতাকা, সেই অদ্ভুত আলোকে, দিবাভাগে ধূমকেতুর ভায় বিমলিন হইল। রথ দেখিতে দেখিতে কারণ-সলিল-বক্ষে-বিরাজিত ব্ৰহ্মলোকের সমীপবৰ্ত্তী হইল। অসুর-ভয়-ভীত সুরসৈনিকগণ ব্ৰহ্মলোকের দ্বারে আশ্রয় গ্ৰহণ করিয়াছিলেন ; বহুদিনের পর দেবরাজকে দেখিতে পাইয়া, তাহারা জয়ধ্বনি করিয়া উঠিলেন ; এবং বায়ু, যম, অগ্নি প্রভৃতি দিকপালগণ আসিয়া দেবরাজকে বেষ্টন করিলেন। উপস্থিত বিপৎপাতে কি করা। কৰ্ত্তব্য, তাহ স্থির করিবার জন্য দেবরাজ দিকপালগণে, সঙ্গে মন্ত্রণায় প্ৰবৃত্ত হইলেন । এই মন্ত্রণ-সভার বক্তৃতা হইতে মধুসুদন বায়ু ও যম প্রভৃতি দিকপালগণের প্রকৃতি আতি সুন্দরীরূপে ব্যক্ত করিয়া ছেন । বৃত্ৰ-সংহারে আমরা যে সকল মনোহর চিত্ৰ প্ৰাপ্ত হই, তিলোত্তমাসম্ভাবে তাহার অনেকগুলির প্রথম রেখাপাত হইয়াছে। পাতালপুৱস্থিত দেবগণের সভা, সুমেরুশৃঙ্গে দেবরাজের তপশ্চৰ্য্যা, ব্ৰহ্মলোক, দেবশিল্পী বিশ্বকৰ্ম্মার ভবনে বজ-নিৰ্ম্মাণ প্ৰভৃতি বুত্রসংহারের অনেকগুলি চিত্ৰ তিলোত্তমার ছায়াপাতে কল্পিত । বৃত্ৰসংহারের কবি দেবেন্দ্ৰকে যে উচ্চ আদর্শে গঠিত করিয়াছেন, তাহারও আদর্শ তিলোত্তমায় লক্ষিত হইবে । পৌরাণিক ইন্দ্ৰ বিলাসী, ইন্দ্ৰিয়সেবক এবং অন্যের সৌভাগ্যে ঈর্ষাপরায়ণ। অপরের সুখ ও সৌভাগ্য বিলুপ্ত করিয়া আত্ম-মৰ্য্যাদা অক্ষুন্ন রাখাই তাহার অভ্যাস ও প্ৰকৃতি । আশ্রিত জনের জন্য উৎকণ্ঠ অথবা বিজিত শত্রুর প্রতি দয়া তাহার চরিত্রে বড় লক্ষিত হয় না। কিন্তু তিলোত্তমার ইন্দ্ৰ কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠ, আশ্ৰিতাজনের দুঃখে দুঃখিত, এবং ভগবাদিচ্ছার উপর নির্ভরশীল। নিজের দুঃখে তিনি দুঃখিত নহেন ; তিনি বিধাতাকে বলিয়াছিলেন ; (ाद-मरूो । ইন্দ্ৰী-চরিত্র ।