পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rao डीवन-ब्रिड । গৃহীত হইয়াছে। শৰ্ম্মিষ্ঠা-নাটকে সায়ংকালীন শুক্ৰণচাৰ্য্যের আশ্রমবর্ণনা রঘুবংশের প্রথম সর্গের মহর্ষি বশিষ্ঠ দেবের আশ্ৰমবৰ্ণনার অনুরূপ । মহর্ষি অঙ্গিরার আশ্রমে ইন্দ্ৰনীল ও পদ্মাবতীর মিলন মহর্ষি মারীচের আশ্রমে দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার মিলনের আদর্শে রচিত হইয়াছে । শক্রিাবতার, শচীতীর্থ, এবং গৌতমী প্ৰভৃতি নামগুলিও শকুন্তলা হইতে গৃহীত। মধুসূদনের এই সময়কার রচিত গ্ৰন্থ সমূহে যে পাশ্চাত্য কবিগণের প্রভাব একবারেই নাই, তাহ নয় { রাজ্যচ্যুত ও শক্ৰকর্তৃক উৎপীড়িত দেবরাজকে দেখিলে পাঠকের হাইপিরিয়ণের প্রথমাংশ মনে হইবে ; বিশ্বকৰ্ম্মকর্তৃক তিলোত্তমার সৃষ্টি পাঠ করিলে ভল্কান কর্তৃক আকিলিসের বৰ্ম্ম-নিৰ্ম্মাণ মনে পড়িবে এবং তিলোত্তমার বিলাসলীলা পাঠককে প্যারাডাইস লষ্টের ইভের ব্যবহার স্মরণ করাইয়া দিবে। পদ্মাবতী-নাটকের সুবৰ্ণ-পদ্ম-বৃত্তান্তটী অবিকল গ্ৰীক হইতে গৃহীত। কিন্তু প্ৰাচ্য ও প্রতীচা উভয় দেশীয় কবিদিগের মধ্যে মধুসূদনের এই সময়কার রচিত গ্ৰন্থ সমূহে প্ৰাচ্য কবিদিগেরই প্ৰাধান্য অধিক বলিয়া আমরা ইহাকে প্ৰাচ্য কবিগণের প্রভাবকাল নাম দিয়াছি । আবাল্য পাশ্চাত্য ভাষানুরাগী মধুসূদনের গ্রন্থে কি জন্য সংস্কৃত ভাবের এরূপ আধিক্য হইয়াছিল, সে সম্বন্ধে দুই একটি কথা বলা আবশুক । ইহার প্রধান কারণ এই যে, তাহার গ্ৰন্থ সাধারণের নিকট আদরণীয় হইবার প্রত্যাশায়, তিনি, বন্ধুগণের পরামর্শে, সংস্কৃত আদর্শ গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । ইহার অপর কারণ এই যে, বাঙ্গালা-ভাষায় অধিকার লাভের জন্য, তিনি, এই সময়, মনোযোগের সহিত, অনেক সংস্কৃত গ্ৰন্থ আলোচনা করিয়াছিলেন ; সুতরাং তাহাদিগের ভাব, অজ্ঞাতসারে, তঁহার রচনায় প্রবিষ্ট হইয়াছিল । কিন্তু তিলোত্তম-সম্ভব হইতে মধুসূদনের মনের ভাবের পরিবর্তন আরব্ধ হইয়াছিল। তিনি বুঝিতে প্ৰতীচ্য কবিগণের প্রভাব ।