পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন-চরিত । ول؟ পারিতেন, তিনি, তাহাদিগকে উৎসাহিত করিবার জন্য, অনেক সময়, পুৰস্কার দান করিতেন। যে সৌন্দৰ্যোপাসনা মধুসূদনের চরিত্রের একটী বিশেষ লক্ষণ ছিল, তাহা তিনি তাহার পিতৃ-প্ৰকৃতি হইতেই লাভ করিয়াছিলেন । চারি ভ্রাতার মধ্যে সৰ্ব্বকনিষ্ঠ বলিয়া রাজনারায়ণ দত্ত জ্যেষ্ঠ সহোদরদিগের বড়ই আদরের পাত্র ছিলেন, এবং সেই জন্য বাল্য হইতেই বিলাসিতায় ও ভোগসুখে অভ্যস্ত হইয়াছিলেন । কিন্তু বিলাসম্পূহ ছিলেন বলিয়া তিনি, কখনও, বিদ্যাশিক্ষায় অমনোযোগী হন নাই । পারম্ভ ভাষায় তাহার অতি সুন্দর বুৎপত্তি ছিল, এবং সেই জন্য তিনি পবে মুন্সী রাজনারায়ণ আখ্যা লাভ করিষা ছিলেন । জেষ্ঠভ্রাতা রাধামোহনের ন্যায় তিনিও, অভিমানে স্বদেশ ত্যাগ করিয়া, আত্মোন্নতির অ্যাশায়, কলিকাতায় আসিয়াছিলেন, এবং বিদ্যাবুদ্ধি-বলে, পরিণামে, সদর-দেওয়ানী-আদালতের একজন প্ৰসিদ্ধ উকীল হইয়াছিলেন । তাহার সময়ে তাহার ন্যায় প্ৰতিপত্তিশালী উকীল সদর-দেওয়ানী-আদালতে অতি অল্পই ছিলেন । অপর ভ্রাতাগণের ন্যায় তিনিও প্রচুর অর্থ উপাৰ্জন করিতেন এবং মুক্তঅস্তে ব্যয় করিতেন । দানশীলতা তাহার চরিত্রের একটী বিশেষ লক্ষণ ছিল । যে সরস বাকপটুতাগুণে মধুসুদন সকলকে মুগ্ধ ও পুলকিত করতেন, তিনি তাহা তাহার পিতারই নিকট প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন । পুত্ৰ পিতার দোষগুণ উভয়েরই অধিকারী হইয়া থাকেন ; মধুসূদনেও এ নিয়মের অন্যথা হয় নাই। পিতার বিদ্যানুরাগ, সহৃদয়ত, বুদ্ধিমত্তা, এবং বাকৃপটুতা প্ৰভৃতি সদগুণের সহিত বিলাসিত, অপরিমিতব্যয়িত, আত্মশ্লাঘা প্রভৃতি দোষও তিনি পিতার নিকট লাভ করিয়াছিলেন। আত্মসংযমেই যে প্রকৃত মনুষ্যত্ব, পিতা পুত্ৰ কাহারও সে জ্ঞান छिन्न न । পিতার দোষ গুণ ।