পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘনাদবধ কাব্য । @@海” ইহার একটি সুন্দর দৃশ্যপট অঙ্কিত করিয়াছেন। উন্নত , প্রাসাদচুড়ার তেজঃপুঞ্জ কলেবর দশানন, উদয়া চলস্থিত দিবাকরের ন্যায়, দণ্ডায়মান ; তাহার পদতলে কাঞ্চন- সৌধ-কিরীটিনী লঙ্কাপুরী প্রসারিতা, তাহার সৌন্দৰ্য্যে অমরাবতীও পরাজিতা । কোথাও পুষ্পেপাদ্যানস্থিত শ্রেণীবদ্ধ রাক্ষসরাজের লঙ্কাপুরী ও সৌধরাজী, কোথাও রজত সলিলোতসারী अitश्य गर्भन । উৎস সমূহ, কোথাও কমলদলপূর্ণ সরোবর, কোথাও হীরকালঙ্কাতশির দেবগৃহ, এবং কোথাও বা নানারাগে রঞ্জিত রত্নপূর্ণ বিপণিসমূহ শোভা পাইতেছে। ত্ৰিজগৎ, যেন রত্নরাজী সংগ্ৰহ করিয়া, ভুবনসুন্দরী লঙ্কাপুরীর পূজার জন্য, সজ্জিত করিয়া রাখিয়াছে। বিশাল প্ৰাচীর এই রত্নময়ী পুৱীকে বেষ্টন করিয়া রহিয়াছে ; এবং অস্ত্ৰধারী রক্ষকগণ সেই প্ৰাচীরোপরি অনবরত পরিভ্রমণ করিতেছে । লঙ্কার গৰ্ব্বিত সিংহদ্বার এক্ষণে শত্রুভয়ে অবরুদ্ধ । নগর-প্ৰাচীরের বহির্দেশে শক্রদল, সিন্ধু-কুলস্থিত সিকতারাজির ন্যায়, অগণিত ংখ্যায়, লঙ্কাপুরীকে বেষ্টন করিয়া রহিয়াছে। প্ৰাচীরের আবিদুরে রণক্ষেত্রে ; সেই রণক্ষেত্রে নিপতিত অসংখ্য রক্ষোবীরগণের সঙ্গে তাহার প্রিয়তম পুত্ৰ বীরবাহুও, শত্ৰু সৈন্যকে বিমথিত করিয়া, মহাশয্যায় শয়ান রহিয়াছেন। বীরপুত্ৰকে এইরূপ অবস্থায় দর্শন করিলে বীরপিতার হৃদয়ে যেরূপ ভাব উদিত হইবার সম্ভাবনা, রাক্ষসরাজ মৃতপুত্রকে উদ্দেশ করিয়া, সেই ভাবে হৃদয়ের বেদন ব্যক্তি করিলেন ; এবং রণক্ষেত্রের সেই মৰ্ম্মভেদী দৃশ্য বিশ্বত হইবার জঙ্গ, দূরস্থিত মহাসমুদ্রের দিকে দৃষ্টিপাত কারলেন। আচল মেৰশ্রেণীর ন্যায় শিলাখণ্ডে নিৰ্ম্মিত সেতু, মহাসমুদ্রকে দ্বিখণ্ডিত করিয়া, প্রসারিত রহিয়াছে। ফেনময় তরঙ্গরাজী তাহার উভয় পাৰ্থে নিরন্তর গম্ভীয় নির্ঘোষে আঘাত করিতেছে, এবং বর্ষাকালীন জলস্রোতের ন্যায় শত্রুসৈন্তস্রোত তাহার উপর দিয়া প্ৰবাহিত হইতেছে। যে মহাসমুদ্র