পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালা-জীবন । S S তিনি, পত্নীসত্ত্বে, পুনর্বার, একাধিক বিবাহ করিয়াছিলেন । জাহ্নবী দাসীর প্রতি অনাদর বা অনুরাগের অভাব তাহার বহুপত্নীকতার कiद्ध० नgश् । আমরা বলিয়াছি, মধুসূদনের দুইটী সহোদর অতি শৈশবে প্ৰাণত্যাগ করিয়াছিলেন । ইহাদিগের মৃত্যুর পর মধুসূদনের আর কোন ভ্রাতা, ভগ্নী হয় নাই । সুতরাং মধুসুদন তাহার স্নেহপ্রবণ-হৃদয়া জননীর প্রকৃতই অঞ্চলেৰ ধন হইয়া দাড়াইয়াছিলেন। জাকুবী দাসী, সম্পূর্ণরূপ আত্মহাব। হ্যািষ্টয়াইট, পুত্রকে ভালবাসিতেন এবং এক দণ্ডের জন্য তঁহাকে চক্ষুদ্ৰ অন্তরাল করিলে অস্থির হইয়া পড়িতেন। মধুসুদন পাঠশালায় যাহলে তিনি ব্যাকুলহািদয়ে তাহার আগমন প্ৰতীক্ষা কবিয়া থাকিতেন। মধুসূদনের খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম গ্রহণের পর তিনি প্রকৃতই জীবন্মত হইয়াছিলেন। সেই অবধি সাংসারিক কোন কাৰ্য্যেই তােহর আসক্তি ছিল না ; যতদিন জীবিত ছিলেন, পুত্রের চিন্তাতেই জীবন অতিবাহিত করিয়াছিলেন । তাহার মৃত্যুর সময় মধুসুদন মন্দ্ৰিাজে ছিলেন। জন্মের মত পুত্ৰকে দেখিতে পাইলেন না বলিয়া তিনি সব্বদাই অক্ষেপ করিাতেন। মৃত্যুর কিয়ৎক্ষণ পূর্বে তিনি কোন আত্মীয়াকে বলিয়াছিলেন ;- “আমি জীবনে মরিয়া আছি ; জলন্ত শোকে বা আগুনে আমাকে কয়লা করিয়া ফেলিয়াছে, আমি মরিয়াই বাচিব ; কিন্তু আমার বাছা যে সাত সমুদ্রের পারে রহিয়াছে, তাহার মুখ খানি না দেখিয়া আমার মরিতে ইচ্ছা করে না।” মধুসুদনও যখন যাহাকে ভালবাসিতেন, এইরূপ প্ৰাণ, মন ঢালিয়া ভালবাসিতেন । ভালবাসিবার এই প্ৰবৃত্তি এবং শক্তি তিনি মাতার প্রকৃতি হইতেই লাভ করিয়াছিলেন । বালে মধুসুদন অতি অমায়িক-প্ৰকৃতি ছিলেন । ধনের ও সম্রামের গৰ্ব্ব তাহার। প্ৰকৃতিতে কখনই ছিল না । যখন তিনি হিন্দু কলেজে পাঠ করিতেন, বাল্য স্বভাব। ,