পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(9) औदन-5ब्रेिड । চরিত্রে জিঘাংসা ও ভক্ত-দ্রোহিত লক্ষিত হয় । কামদেব, রতি, মায়াদেবী, শচী এবং চিত্ররথ প্ৰভৃতি সামান্য সামান্য পাত্ৰগণের চরিত্রে বিশেষ আপত্তিজনক কিছু নাই। কিন্তু অপ্রধান পাত্ৰ বলিয়া ভঁাহাদিগের কথা অধিক আলোচনা নিম্প্রয়োজন । তৃতীয় সর্গ।--তৃতীয় সর্গে ইন্দ্ৰজিৎ-পত্নী প্ৰমীলার লঙ্কা-প্ৰবেশ বর্ণিত হইয়াছে। প্ৰমীলাচরিত্রই মেঘনাদবধের মধ্যে নুতন, এবং ইহা হইতেই মধুসূদনের মেঘনাদবধ রচনার উদ্দেশ্য সার্থক হইয়াছে। রামায়ণজ্ঞ ব্যক্তিমাত্রই অবগত আছেন যে, ভগবান বাল্মীকি রাক্ষসদিগকে নিতান্ত পশুবৎ চিত্ৰিত করিয়াছেন । রামায়ণ হইতে র্তাহাদিগের সম্বন্ধে আমরা যাহা অবগত হই, তাহাতে র্তাহাদিগের প্রতি আমাদিগের সহানুভূতির উদ্রেক হয় না। কিন্তু কাৰ্য্য বিশেষের জন্য ঘূণাৰ্ছ হইলেও তঁহাদিগের চরিত্রের যে একটি মধুর অংশ ছিল, তাহা অবশ্যই স্বীকার করিতে হইবে । রাক্ষসরাজ সীতাপহারকা হইলেও পতি, পিতা, শ্বশুর এবং রাজা ছিলেন । স্বামীরূপে, পিতারূপে, শ্বশুরুরূপে, বা রাজারূপে তাহার চরিত্রের যে কোমলতাময় অংশ প্ৰকটিত হইবার সম্ভাবনা, মহর্ষি তাহার উল্লেখ করেন নাই বলিলেও হয় । সেই জন্য রাক্ষসদিগের সম্বন্ধে মহৰ্ষির ও মধুসূদনের ভিন্ন আদর্শ। আমরা, তাহার প্রকৃতির পশুভাবমাত্ৰ দেখিতে পাইয়া, তাহাতে কোনরূপ সদগুণের অস্তিত্ব কল্পনা করিতে পারি না । রাক্ষসবংশের প্রতি পাঠকের সহানুভূতিউদ্দীপন, মেঘনাদবধ রচয়িতার অন্যতম উদেশ্য ছিল ; সেই জন্য তিনি তঁহাদিগের পারিবারিক জীবনের ললিত চিত্র আমাদিগের সম্মুখে প্ৰকটিত করিয়াছেন। আমরা দেখিতে পাই, মেঘনাদবধের রাবণ, অতুল ঐশ্বৰ্য্যের আধিপতি এবং দোর্দণ্ড প্ৰতাপ বীর ; তিনি যে সীতাপহারক কবি তাহার উল্লেখ করিতে পরামুখ হন। নাই ; কিন্তু তিনি সেই সঙ্গে তঁহাকে স্নেহবান পিতা, গৌরবশালী