পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘনাদবধ-কাব্য । SV) সৌরভময় কুকুম ভস্মীভূত হইয়াছিল, প্রমীলার জীবনে কবি তাহার সুন্দর দৃষ্টান্ত প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন। মনুষ্য, সংসারে, কেবল আত্মকৃত কাৰ্য্যের জন্য, দণ্ড পুরস্কারের অধিকারী নহেন। সামাজিক জীব্ৰহ্মপে, অন্যের কৃত কাৰ্য্যেরও জন্য, তাহাকে পুরস্কার অথবা নিগ্ৰহ প্ৰাপ্ত হইতে হয়। লঙ্কা যুদ্ধের জন্য রাক্ষসরাজই অপরাধী ; কিন্তু ঊর্তাহার সঙ্গে সম্বন্ধ বশতঃ কত যে নির্দোষী নরনারীকে দারুণ যন্ত্রণা ভোগ করিতে হইয়াছিল, প্ৰমীলায় তাহার দৃষ্টান্ত প্ৰদৰ্শিত হইয়াছে। যে গভীর আবৰ্ত্তে লঙ্কাপুৰী নিমগ্ন হইতেছিল, রূপ, যৌবন, বাহুবল, নির্দোবিতা কিছুরই তাহা হইতে অব্যাহতি ছিল না। প্ৰমীলা নিরপরাধ কুলবধু, গুরুজনে ভক্তিমতী, এবং রমণীর শ্রেষ্টধৰ্ম্ম পাতিব্ৰত্যে পতিব্ৰতগণের অগ্রগণ্য । প্ৰমীলা ভগবতীর প্ৰিয় উপাসিকা ; কিন্তু এই মহা দাবানল হইতে কিছুই তাহাকে রক্ষা করিতে পারিল না । শৌর্য্যে প্ৰমীলা, হয়ত, স্বামীর মৃত্যুর প্রতিবিধানে সমর্থ। । কিন্তু নিয়তি, তাহাকে কুলবধু করিয়া, এমনি কঠিন নিগড়ে তাহার হস্ত, পদ আবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছিলেন যে, স্বামীর জন্য, একটি অঙ্গুলি উত্তোলনেরও তাহার সাধ্য ছিল না । প্ৰমীলার সাধ ছিল, মেঘনাদের সঙ্গে যজ্ঞাগারে গমন করিয়া, তাহাকে যুদ্ধসজ্জায় সজ্জিত করিবেন । বীরাঙ্গনার ও বীরপত্নীর পক্ষে এরূপ সাধ স্বাভাবিক। প্ৰমীলা উপস্থিত থাকিলে লক্ষ্মণ, বোধ হয়, মেঘনাদকে বধ করিতে সমর্থ হইতেন না । কিন্তু প্ৰমীলার ইচ্ছা পূর্ণ হইল না । তাহার স্নেহপ্ৰবণহৃদয়া শ্বশ্ৰী তাহাকে বলিলেন ;- “थांक त्रं चांभांव्र गप्प्ष्त्र डूनि ; क्रूफुॉशेष ও বিধুবদন হেরি এ পোড়া পরাণ ।” সুশীলা কুলবধুর পক্ষে শ্বশ্রীর এরূপ অনুরোধ বা আদেশ লঙ্ঘন করা সম্ভব নয়। শ্বশ্রার কথায় একটী দ্বিরুক্তি করিবারও প্ৰমীলার শক্তি হইল না। প্ৰমীলাকে বীৰ্য্যবতী অথচ কুলবধু করিয়া চিত্রিত করাতে R8