পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘনাদবধ-কাব্য । V7) পহারক। বলিয়া যদি কাহারও অশ্রদ্ধা জন্মে, তবে তাহাকে মেঘনাদবধের সেই সকল স্থলের সহিত উল্লিখিত কাব্যসমূহের প্রয়োজনীয় অংশগুলি তুলনা করিতে বলি। তাহা হইলে তঁাহারা বুঝিতে পরিবেন যে, অনেক স্থলে, কিরূপ অস্পষ্ট আদর্শ হইতে মধুসূদনের কল্পনা কি সুন্দর চিত্র অঙ্কিত করিয়াছে । সুপ্তোখিত মেঘনাদ, যুদ্ধে গমনের পূর্বে, জননীর পাদবিন্দনের জন্য, মাতার ও পত্নীর নিকট সপত্নীক, মাতার নিকট গমন করিলেন । পুত্রমেঘনাদের বিদায় গ্ৰহণ। বৎসল মন্দোদরীর এবং পতিপ্ৰাণা প্ৰমীলার নিকট ইন্দ্ৰজিতের বিদায়-গ্ৰহণ-কালীন কথোপকথন অতীব সুন্দর। আমরা পুর্বেই বলিয়াছি যে, মহর্ষি প্ৰণীত রামায়ণে রাক্ষস পরিবারবর্গের চরিত্র যেরূপভাবে চিত্রিত হইয়াছে, তাহাতে র্তাহাদিগকে পশু প্ৰকৃতি জীব ভিন্ন আমাদিগের আর কিছু মনে হয় না। মাতৃভক্তি, অপত্য-বাৎসল্য এবং দাম্পত্যপ্ৰেম প্ৰভৃতি গাৰ্হস্থ্য গুণ যে র্তাহাদিগের প্রকৃতিতে সম্ভবপর, আমরা তাহা কল্পনা করিতে পারি না । সিংহ, ব্যাস্ত্ৰ, অথবা ভল্লুকে SD DBBD DD BtBDB DS DBD sgD DDBSBB DBDBDS DDBDBDBB আমরা সেই সকল ভাবই কল্পনা করি। কিন্তু মেঘনাদবধ কাব্য পাঠকের হৃদয়ে এক অভিনব ভাব মুদ্রিত করিয়া দেয় । পুত্ৰগতিপ্ৰাণা জননীর অনিদ্রায় ও অনাহারে পুত্রের কল্যাণের জন্য শিবারাধনা, মাতুবৎসল বীরপুত্রের, যুদ্ধে গমনের পূর্বে, মাতার চরণবান্নার্থ সপত্নীক আগমন, এবং পরস্পরের প্রতি প্ৰগাঢ় অনুরাগবান দম্পতির, অশ্রািজল বিসর্জন করিতে করিতে পরস্পরের নিকট বিদায় গ্ৰহণ-রাক্ষসোচিত ভাব নহে-মানবহৃদয়ের অতি কোমলতাময় ভাবের নিদর্শক | প্ৰমীলার প্রতি মন্দোদরীর ব্যবহার এবং মেঘনাদের ও প্ৰমীলার পরস্পরের নিকট বিদায় গ্ৰহণ কাব্যের মধ্যে সর্বাপেক্ষা মধুর গাৰ্হস্থ্য ভাবে পূর্ণ। মেঘনাদ, জননীর চরণ বন্দনা করিয়া, যজ্ঞশালার দিকে অগ্রসর হইতেছিলেন, সহসা প্ৰণয়িণীর