পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6-J | WSOb7GN লক্ষ্মণের এই বীরত্বগৰ্ভ উৎসাহ অতি প্ৰশংসনীয়। কিন্তু ইহার সহিত তুলনায় কবি রামচন্দ্রের ব্যবহার সম্পূর্ণ কাপুরুষোচিত করিয়াছেন। রামচন্দ্র বীর ভ্রাতার উৎসাহে উৎসাহ প্ৰকাশ করিতে অসমর্থ। তিনি, বরং, সীতা উদ্ধারের আশা পরিত্যাগ করিয়া, পুনর্বার বনগমনে প্ৰস্তুত, তথাপি লক্ষ্মণকে ইন্দ্ৰজিতের সঙ্গে যুদ্ধে গমন করিতে আদেশ দিতে প্ৰস্তুত নহেন। ৭ লক্ষ্মণ বীরোচিত দৃঢ়তার ও বিনয়ের সহিত জ্যেষ্ঠ ভ্ৰাতাকে বুঝাইতে লাগিলেন, কিন্তু কিছুতেই রামচন্দ্রের ভীতি আপসারিত হইল না । তখন মিত্রবর বিভীষণ আসিয়া তাঁহাকে বুঝাইতে আরম্ভ করিলেন। বিভীষণ পূৰ্ব্বব্যাত্ৰিতে স্বপ্ন দেখিয়াছিলেন যে, রক্ষঃকুলরাজলক্ষ্মী, তাহার শিবিরে আবিভূতি হইয়া, যেন তাঁহাকে লঙ্কার শূন্য রাজপদে প্ৰতিষ্ঠিত করিতেছেন। তঁহার স্বপ্ন যে উষ্ণ মস্তিষ্কের ক্রিয়া নহে, তাহার প্রমাণাৰ্থ তিনি বলিলেন যে, তিনি ভগবতীকে কেবল স্বপ্নে নয়, স্বপ্নান্তেও, মুহুৰ্ত্তের জন্য, স্বশরীবে দর্শন করিয়াছেন । কিন্তু রামচন্দ্রের ভীতি তথাপি দূৰীভূত হইল না। তিনি স্ত্রীলোকের ন্যায়, বিনাইয়া বিনাইয়া, কঁাদিতে আৰম্ভ করিলেন । তঁহাদিগের বনগমনের সময়ে সুকুমারী উৰ্ম্মিলা অবরোধ মধ্যে কিরূপ উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিয়াছিলেন, এবং সুমিত্ৰা দেবী লক্ষ্মণকে কিরূপে তাহার হস্তে সমৰ্পণ করিয়াছিলেন, সমস্তই তখন তাহার মনে উঠিতে লাগিল। তিনি শেষ বিভীষণকে বলিলেন ;- “নাহি কৃষি, মিত্রবর, সীতায় উদ্ধারি, ফিরি। যাই বনবাসে * * * • * * शंका शिदिनी আশা, তেঁই কহি, সখে, এ রাক্ষস-পুরে অলজয্য সাগর লঙ্ঘি আইনু আমরা ।” ভ্ৰাতা, বন্ধু, কেহই যখন রামচন্দ্ৰকে প্ৰকৃতিস্থ করিতে পারিলেন না,