পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

No জীবন-চরিত। তখন দেবগণ র্তাহার সহায়তাৰ্থ অবতীর্ণ হইলেন । আকাশে দৈববাণী হইল ;- “উচিত কি তব, কহ, হে বৈদেহীপতি, সংশয়িতে দেব-বাক্য, দেবকুল-প্ৰিয় তুমি ? দেবাদেশ, বলি, কেন অবহেলা ? দেখ চেয়ে শূন্য পানে ;-” রামচন্দ্র দেবমায়ায় আকাশে দেখিতে পাইলেন। যে, এক সৰ্প ও ময়ুরে ঘোরতর সংগ্ৰাম হইতেছে ; কিয়ৎক্ষণ সংগ্রামের পর, এরূপ যুদ্ধে বিজয়লাভে চিরাভ্যন্ত ময়ুব, নিহত হইয়া, ভূমিতলে পতিত হইল ; এবং বিজয়ী সৰ্প গর্জন করিয়া উঠিল। কবি এই সৰ্প ও ময়ুরের সংগ্রাম ইলিয়াডের দ্বাদশ সর্গ হইতে, পরিবৰ্ত্তিত আকারে, গ্ৰহণ করিয়াছেন । বিভীষণ সেই দেবমায়ার অর্থ রামচন্দ্ৰকে বুঝাইয়া দিলে তঁহার ভীতি দুৱ হইল। তিনি ভ্রাতাকে, দেবরাজপ্রেরিত অন্ত্রশস্ত্ৰে সুসজ্জিত করিয়া, বিভীষণের হস্তে সমৰ্পণ করিলেন । কিন্তু এত চেষ্টাতে এবং দেবমায়াতেও তাহার হৃদয় সম্পূর্ণ আশ্বস্ত হইল না। মৃতবৎসা জননী, যেমন, একমাত্র শিশু পুত্ৰকে, বিদেশ গমনের সময়, রোদন করিতে করিতে, আত্মীয় বিশেষের হস্তে সমর্পণ করেন, তিনিও তেমনই লক্ষ্মণকে বিভীষণের হস্তে সমৰ্পণ করিয়া বলিলেন ;- “সাবধানে যাও মিত্ৰ ; অমূল্য রতনে রামের ভিখারী রাম আপিছে তোমারে, রাখিবর, নাহি কাজ বৃথা বাক্যব্যয়ে ; डीवन भद्भव भभ डांख् िउत शtड ।” যাহা হউক, কোনরূপে, জ্যেষ্ঠভ্রাতার অনুমতিলাভ করিয়া লক্ষ্মণ, “গুন্মাবৃত ব্যাভ্রের এবং নদীগর্ভস্থত নক্রের” ন্যায়, মেঘনাদকে বধ করিাবার জন্য, বিভীষণের সঙ্গে প্ৰস্থান করিলেন। মায়াদেবী আদৃশ্যভাবে তাহাদিগের সঙ্গে সঙ্গে চলিলেন । র্তাহার স্পের্শে লঙ্কার দুৰ্ভেদ্য সিংহদ্বার