পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO9. জীবন-চরিত। করিয়াছেন, সেইখানেই এইরূপ ভ্ৰমে পতিত হইয়াছেন । তঁহার রামচন্দ্ৰে বিনয়ের অথবা কোমলতার অভাব নাই, কিন্তু কোমলতার সঙ্গে দৃঢ়তার সামঞ্জস্যেই যে রামচন্দ্রের চরিত্রের গৌরব, তিনি তাহা অনুধাবন করিতে পারেন নাই । তাহার রামচন্দ্ৰ প্ৰমীলার বীরত্ব-দর্শনে ভীত, ভ্রাতাকে যুদ্ধে প্রেরণের সময়ে রোদিনীপরায়ণ, এবং আততায়ী শক্রকে রণক্ষেত্রে প্রাপ্ত হইয়াও তাহার সহিত যুদ্ধে পরামুখ । রামচন্দ্রের ও লক্ষ্মণের চরিত্র সম্বন্ধে কবি মেঘনাদবধে যে ভ্ৰমে পতিত হইয়াছেন, তাহা চিরদিন তাহার কাব্যের কলঙ্ক ঘোষণা করিবে । অষ্টম সগ । শক্তিশেলাহত বীরবার লক্ষ্মণের পুনৰ্জীবন-লাভ हैनिब्रांछिद्म ७ ब्रांभांझgiब्र घटना- এই সর্গের বর্ণনীয় বিষয় । বামায়ণের दर्लीद्र म२भिes । মূল ঘটনা বৰ্ত্তমান রাখিয়া কবি ইহাতে हैनिम्रांg७द्भ ७ ठिङांश्न कcभछिद्ध कविদিগের অনুসরণ করিয়াছেন। সে দিনের সেই ভয়ঙ্কর যুদ্ধ অবসানের সঙ্গে দিবাকর অন্তমিত হইয়াছিলেন ; এবং নিশা-সমাগমে রণক্ষেত্রের চতুর্দিকে শত শত অগ্নিরাশি প্ৰজ্বলিত হইয়াছিল। রামচন্দ্ৰ লক্ষ্মণের পাশ্বে মৃতপ্ৰায় নিপতিত ; রঘুসৈনিকগণ র্তাহার শোকে শোকাকুল। কবি, তাহার স্বাভাবিক দক্ষতার সহিত, অতি হৃদয়দ্রাবিণী ভাষায় রামচন্দ্রের শোকোচ্ছাস বর্ণন করিয়াছেন ; কিন্তু, দুৰ্ভাগ্যক্রমে, সীমাতিরিক্ত দীর্ঘ হওয়াতে, তাহার সৌন্দৰ্য্যের হানি হইয়াছে। রামচন্দ্রের ন্যায় সত্ত্বগুণান্বিত মহাপুরুষের নিকট আমরা, শোকের অবস্থাতেও, অপেক্ষাকৃত ংযম ও দৃঢ়তা প্ৰত্যাশা করি ৷ কৈলাসে ভক্তবৎসলার হৃদয় রামচন্দ্রের দুঃখে দুঃখিত। মহাদেব তাহার উপরোধে মায়াদেবীকে লঙ্কাপুরীতে প্রেরণ করিলেন। রামচন্দ্ৰ, মায়াদেবীর সঙ্গে, প্ৰেতিনগরে গমন করিয়া, রাজা দশরথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিলেন এবং তঁাহার মুখে লক্ষ্মণের পুনজীবন-লাভের উপায় অবগত হইলেন। এই সকল ঘটনা যে মূল রামা