পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8○br खोदन-bब्रिड । রূপিণী জানকীর এবং শ্মশান-শয্যায় স্বামীর পদপ্রান্তে উপবিষ্টা, নববিধবা প্ৰমীলার অনুপম চিত্র দর্শন করিয়া কে বলিবেন যে, মধুসুদন কেবল বীররসেরই কবি ? মধুসূদনের নিজের জীবনের ন্যায় তাহার মেঘन्मारक्ष-दादा७ कझ5°-द्रमiयूक । যে কারাল রজনীতে রামচন্দ্ৰ, লঙ্কার সমুদ্রকুলস্থিত রণক্ষেত্রে, ভ্রাতার মৃতদেহ ক্ৰোড়ে লইয়া, উপবিষ্ট ছিলেন, লক্ষ্মণের পুনর্জীবন লাভের সঙ্গে তাহা প্রভাতী হইয়াছিল। রামচন্দ্রের শিবির আনন্দকোলাহলে পূর্ণ; রঘুসৈনিকগণের বিজয়নাদে আকাশ প্ৰতিধ্বনিত হইতেছিল। সেই আনন্দকোলাহল, সমুদ্র-কল্লোলকেও পরাজিত করিয়া, মনস্তাপে ভুশয্যায় উপবিষ্ট রাক্ষসরাজের কর্ণে প্ৰবেশ করিল। তিনি মন্ত্রীর মুখে লক্ষ্মণের পুনৰ্জীবন-লাভ-সংবাদ শ্রবণ করিলেন । পুত্ৰহস্তী শত্রুর পুনৰ্জীবন-লাভ পুত্ৰশোক অপেক্ষাও অধিক মৰ্ম্মভেদী ; কিন্তু এই মৰ্ম্মভেদী সংবাদে লঙ্কেশ্বর এবার মূৰ্ছিত হইলেন না। পৃথিবীর সকল আশা বিলুপ্ত হইলে নিরাশাই মানব-হৃদয়ে আশা-দান করে ; রাক্ষসরাজ আজ নিরাশায় আশান্বিত । স্বয়ং কৃতান্তও যখন তাহার ভাগ্যক্রমে স্বধৰ্ম্ম বিশ্বত হইলেন, তখন আর আশা কোথায় ? তিনি বুঝিলেন, রাক্ষসবংশের গৌরব-রবি, সত্য সত্যই, চিরান্ধকারে আবৃত হইলেন। কুলগৌরব পুত্রের প্ৰেতকৃত্য সমাপনের জন্য তিনি মন্ত্রী দ্বারা রামচন্দ্রের নিকট সপ্তাহব্যাপী সন্ধি প্ৰাৰ্থনা করিয়া পাঠাইলেন । উদারহৃদয় রামচন্দ্ৰ দুৰ্ভাগ্য-প্ৰপীড়িত শক্রির প্রার্থনায় অসস্মত হইলেন না । বলা নিম্প্রয়োজন যে, মেঘনাদের প্ৰেতকৃত্য এবং সাত দিবসের জন্য লঙ্কাযুদ্ধের বিরাম আর্ষ রামায়ণে নাই ; ইলিয়াডের আদর্শে মধুসুদন ইহা কল্পনা করিয়াছেন। কিন্তু ইলিয়াডের কবি যে দৃশ্য কখনও কল্পনা করিতে পারেন নাই, মেঘনাদবধের কবি তাহ প্ৰদৰ্শন করিবার সুযোগ প্ৰাপ্ত হইয়াছেন । ভারতলালনা, পতির পাদ-প্ৰান্তে মেঘনাদের প্ৰেতকৃত্য।