পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बछधaा-कदJ ।. 8 R 4 উঠিলে ? তথাপি ব্ৰজাঙ্গনার দুই একটা পদ শ্রবণ করিলে সেই বহু পূৰ্ব্ব-শ্রুত, সুপরিচিত কণ্ঠস্বর মনে পড়ে। ভক্ত ও প্ৰেমিক ভিন্ন আর কি হারও রাধাকৃষ্ণ-তত্ত্ব লিখিবার অধিকার নাই । বৈষ্ণব কবিগণ একাধারে ভক্ত ও প্রেমিক ছিলেন, তাই তাহাদিগের সঙ্গীত মাধুৰ্য্যের ও ভাবের সম্মিলনে মৰ্ম্মস্পর্শী হইয়াছিল। মধুসূদন, প্রেমিক হইলেণ্ড, ভক্ত ছিলেন না , সেই জন্য র্তাহার কবিতা, কৰ্ণে অমৃতধারা বর্ষণ করিলেও, মৰ্ম্মস্থল স্পর্শ করিতে পারে না। বৈষ্ণব কবিগণের কাব্য প্রাচীন ও আধুনিক বৈষ্ণব উষার শিশির-সিক্ত কুসুমেরই সঙ্গে তুলনীয় ; কবিতার পার্থক্য । সেই বিকাশোমুখ, পরিমালোৎসারী, সুকোমল সদ্যঃ-মাতভােব পৃথিবীর অপব কোন সামগ্রীতে প্ৰাপ্ত হইবার সম্ভাবনা নাই। মধুসূদনের ব্ৰজাঙ্গনা প্ৰভাতের কুসুমের তুল্য ; তাহাতে পারমলের ৭ সৌন্দর্ঘ্যের অভাব নাই ; কিন্তু অরুণ কিরণের সংস্পর্শে তাহার শিশির-বারি শুষ্ক হইয়। গিয়াছিল ; সেই জন্য, একই সামগ্ৰী হইলেও, উভয়ের মধ্যে পার্থক্য এত অধিক । ব্ৰজাঙ্গন আদিরস-প্ৰধান কাব্য । বাঙ্গালি আদিরসেরই কবি ; অন্য রস বাঙ্গালির হৃদয়ে স্থায়ী হয় না ; আদিরসের প্লাবনে বাঙ্গালির হৃদয়ে অন্য ভাব ভাসিয়া যায়। মধুসুদন যদিও, জাতীয় প্রবণতা অতিক্রম কবিয়া, মেঘনাদবধ রচনা করিয়াছিলেন, তথাপি আদিরসের মাধুৰ্য্য বিশ্বত হইতে পারেন নাই। তাহার লেখনী, ঘুরিয়া আসিয়া, আদিরসের পথে দাড়াইয়াছিল । তাহার তিলোত্তমাসম্ভব ও মেঘনাদবধ তাহার বিজাতীয় শিক্ষার ফল, ব্ৰজাঙ্গনা তাহার জাতীয় প্ৰবণতার নিদর্শক । বৈষ্ণব কবিগণই বাঙ্গালিকে, সৰ্ব্ব প্রথমে, আদিরসের মাধুৰ্য আস্বাদন করিতে শিক্ষা দিয়াছিলেন । মধুসুদন তাহাদিগেরই কাব্যের আদর্শে ব্ৰজাঙ্গন প্ৰণয়ন করিয়াছেন । আমরা বলিয়াছ, মধুসুদন প্রেমিক ছিলেন ; কিন্তু তঁাহার প্ৰেম