পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कुक्कूभाऔ नाप्लेक । 88 অভাবনীয় বিপদ সংঘটিত করিলেন । মনুষ্য, যন্ত্রণা সহ্য করিতে না পারিলে, নিজহস্তেই নিজের হৃৎপিণ্ড বিদারিত করে। যন্ত্রণায় অধীর ভীমসিংহ কৃষ্ণার মৃত্যুতে সন্মতিদান করিলেন । উদয়পুর রাজপরিবারের এইরূপ শোচনীয় অবস্থা মধুসুদন অতি সুন্দর রূপ চিত্ৰিত করিয়াছেন । যে অবস্থায় ভীমসিংহ কৃষ্ণার মৃত্যুতে সন্মতি দান করিয়াছিলেন, তাহাও অতি দক্ষতার সহিত অঙ্কিত হইয়াছে । সরলা কৃষ্ণার প্রাণনাশের জন্য রাজসভায় যে মন্ত্রণা হইয়াছিল, রাজমহিষী৷ অথবা কৃষ্ণা কেহই তাহ অবগত ছিলেন না । কিন্তু কি জানি কেন, সেই ভাবী বিপদেবী ছায়া তাহাদিগেব। উভয়েরই হৃদয়ে পতিত হইয়াছিল। মাতার প্রাণ শতযোজন দূর হইতেও সন্তানের বিপদ জানিতে পারে । কৃষ্ণার। প্ৰাণনাশের চক্রান্ত জানিতে না পারিয়াও রাজ্ঞীর হৃদয় কৃষ্ণার জন্য উদ্বিগ্ন হুইয়াছিল । কৃষ্ণকে কোথাও এক রাখিয়া তিনি সুস্থির থাকিতে পারিতেন না । মনের উৎকণ্ঠায় তিনি একদিন স্বপ্ন দেখিলেন যে, কে যেন তাহার কৃষ্ণকে খড়গাঘাত করিতে উদ্যত হইয়াছে । সেই অবধি তাহার। প্ৰাণ সৰ্ব্বদা কৃষ্ণার জন্য অস্থির থাকিত। ভাবী বিপদের ছায়া কৃষ্ণারও হৃদয়াকাশ আবৃত করিয়াছিল । মাতার উদ্বেগ, পিতার দীর্ঘনিশ্বাস এবং পুরুবাসিগণেন্দ বিষন্ন ভাব বালিকার হৃদয়ে শেলেব ন্যায় বিদ্ধ হইত । কৃষ্ণা আর সেই সরলতাময়ী বালিকা বহিলেন না। সঙ্গীত, নৃত্যু, পুষ্পবাটিকায় জলসেক, সকল সাণই, ক্ৰমে, বালিকার হৃদয় হইতে অন্তহিত হইল । দাবানলবেষ্টিত কাননে কুরঙ্গ শিশু যেমন সজল নয়নে মাতার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে, সরলা বালিকা কৃষ্ণাও তেমনি জননীর মুখপানে চাহিয়া শান্তিলাভের চেষ্টা করিতেন, কিন্তু সেখানেও শান্তি পাইতেন না । একদিন, আন্তপুৱস্থিত উদ্যানে ভ্ৰমণ করিতে করিতে, কৃষ্ণ মুস্থিত হইয়া পতিত হইলেন ; এবং সেই कूकूभांड्री ।