পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৫৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দশ-অধ্যায়। বীরাঙ্গনা-কাব্য । [ ১৮৬২ খৃষ্টাব্দ ] মধুসূদনের সাহিত্যিক জীবনের আলোচনায় আমরা, অনেক কাল, র্তাহার পারিবারিক জীবনের কোনও প্ৰসঙ্গ করিতে পারি নাই। পাঠকবর্গের কৌতুহল DBDDBB DBJ KBSDBBBBD BDB BB uuuDDSgDBDD DDBDLS SDD না । পুর্বের ন্যায় তিনি পুলিস আদালতে কাৰ্য্য করিতেছিলেন ; রাজকাৰ্য্য, পুস্তক বিক্রয়ের আয়, এবং পৈত্রিক সম্পত্তি হইতে র্তাহার যে অর্থাগম হইত, তাহাতে মধ্যবিত্ত গৃহস্থের ন্যায় স্বচ্ছন্দে তাহার দিনপাত হইত। কলিকাতায় প্রত্যাগমনের পাব তাহার একটী পুত্র ও একটী কন্যা জন্মিয়াছিল ; এবং বাঙ্গালা ভাষার একজন অদ্বিতীয় লেখক বলিয়া তাহার নাম বঙ্গসমাজে সুপরিচিত হত য়াছিল । সুতরাং, সাধারণতঃ, যে সকল সামগ্ৰী লইয়া মনুষ্য পারিবারিক জীবনে সুখী হয়, তাহার কিছুৰই তাহার অভাব ছিল না ; অথচ তিনি একদিনের জন্যও সুখী ছিলেন না । সুখ বাহিরের কোনও সামগ্রীর উপর নির্ভর করে না ; সুখ মানুষ্যের নিজের মনে'ও আত্মসংযমে । কিন্তু মনকে কেমন করিয়া সংযত ও সমাহিত রাখিতে হয়, মধুসূদন তাহা জানিতেন না ; সুতরাং ধন, যশ, পরিবার বর্গের স্নেহ, কিছুই তাঁহাকে তৃপ্তিদান করিতে পারে নাই। বাহিরে লোকে দেখিত, মধুসুদন বিলাসী, আমোদনিরত ও উদ্বেগশূন্য ; কিন্তু অভ্যন্তরে তাহার হৃদয় বিষম যন্ত্রণায় দগ্ধ হইত। বাবু সত্যেন্দ্ৰনাথ ঠাকুরের অনুরোধে তিনি এই সময়কার তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায়* “আত্ম-বিলাপ” নামক একটী কবিতা লিখিয়াছিলেন । এই পারিবারিক কথা ।

  • ১৮৬১ খৃঃ অঃ আশ্বিন মাস।