পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৫৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दौद्धांशोभां-कांवा । R O নাৰ্থপত্রিকা ;-স্বামীর আদর্শনে ব্যাকুল অথবা স্বামীর অমঙ্গল-চিন্তায় উৎকণ্ঠিত প্ৰোষিতভৰ্ত্তকার পত্ৰ। শকুন্তলা, দ্রৌপদী, ভানুমতী এবং দুঃশলা এই চারিজনের পত্র এই শ্রেণীস্থ ।। ৪র্থ, অনুযোগ-পত্রিকা ;- স্বামীর অসদৃশ ব্যবহারে মৰ্ম্মপীড়িত, মুখরা বামার পত্ৰ ;-কেকয়ী এবং জনার পত্র এই শ্রেণীর অন্তৰ্গত । সমজাতীয় 2ಿಗ್ಧ* মধ্যে যে বৈষম্য বৰ্ত্তমান থাকে, তাহার পরিস্ফুটন করিয়া খিনি যে পরিমাণে প্ৰত্যেকটির স্বাতন্ত্র্য বক্ষা করিতে পারেন, তাহার নৈপুণ্য সেই পরিমাণে প্ৰশংসনীয়। মধুসুদন, এই সকল সমজাতীয়া রমণীদিগকে একত্ৰ করিয়া, তাহাদিগের প্রকৃতির স্বাতন্ত্রা কিরূপ রক্ষা করিতে পারিয়াছেন, তাহা দেখিলেই আমরা তঁহার গুণাপনা বুঝিতে পারিব । বীরাঙ্গনা-কাব্যের তারা, শূৰ্পণখা, উৰ্ব্বশী এবং রুক্মিণীদেবী, চারিজনেই প্ৰেমিকা । সুতরাং হঁহাদিগের প্রত্যেকেরই পত্রে প্ৰেমিক হৃদয়ের আকাজক্ষা ও উচ্ছ,াস বৰ্ত্তমান আছে। কিন্তু ইহারা সকলেই প্ৰেমিকা হইলেও ইহাদিগের অবস্থা পরস্পর বিভিন্ন । প্ৰথম জীবিতভৰ্ভুকা, দ্বিতীয়া বিধবা, তৃতীয়া বারাঙ্গনা এবং চতুর্থ কুমারী। নারী জীবনে সামান্যতঃ যে চারি প্রকার অবস্থা হওয়া সম্ভব, এই চারিজনে আতাহা সুচিত হইয়াছে । প্ৰেম একদিকে যেমন পাত্ৰাপাত্ৰ বিচার করে না, অপরদিকে তেমনই প্ৰেমিক, প্ৰেমিকার অবস্থারও উপর নির্ভর করে না । সেই জন্য তারা, গুরুপত্নী হইয়া, শিষ্যে, শূৰ্পণখা, রাজসহোদরা হইয়া, জটাজুটধারী সন্ন্যাসীতে, এবং রুক্মিণীদেবী, লজ্জাশীল কুলবালা হইয়া, অপরিচিত জনে আত্ম সমর্পণের জন্য ব্যাকুলা ; এবং রূপ-ব্যবসায়িনী হইয়াও উৰ্ব্বশী, সেই জন্য, অন্যের রূপে বিমুগ্ধা । তারার ও শূৰ্পণখার প্ৰেম রূপজ মোহ হইতে উৎপন্ন ; উৰ্ব্বশীর প্রেমে রূপজ মোহের সঙ্গে কৃতজ্ঞতা এবং নারী স্বভাবোচিত বীরত্বানুরাগ সম্মিলিত ; কেবল রুক্সিণীদেবীর প্ৰেমে রূপজ বা ইন্দ্ৰিয়জ Ce I