পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৫৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Op. डीवन ब्रिड । দাসের আদর্শে কল্পিত বলিয়া আমরা তাহার পত্রে একটু অতিরিক্ত ইন্দ্ৰিয়চাঞ্চল্যের চিহ্ন দেখিতে পাই এবং যে দুর্জয় ক্রোধাগ্নি কুরুকুল ভস্ম না। করিয়া পরিতৃপ্ত হয় নাই, ইহাতে তাহার শ্বফুলিঙ্গ না দেখিয়া স্বভাবতঃ নিরাশ হই। মধুসুদন “ভীমসেনের প্রতি দ্ৰৌপদী” নামক অপর একখানি পত্র আরম্ভ করিয়াছিলেন। তাহার প্রথম দুইটী পংক্তি এইরূপ ;- মুক্তকেশী আজ দাসী দ্রুপদনন্দিনী,- বৃকোদার । ইহা হইতে আমাদিগের বোধ হয় যে, দ্রৌপদী-চরিত্রের তেজোময় অংশ এই পত্রিকায় প্ৰদৰ্শন করিবার জন্য কবির ইচ্ছা ছিল বলিয়াই, সম্ভবতঃ, তিনি অৰ্জ্জুনের প্রতি দ্ৰৌপদীর পত্রিকায় তাহার সমাবেশ করেন নাই । দ্ৰৌপদীর কুমারী অবস্থা এবং স্বয়ম্বর প্রভৃতি র্তাহার পত্রে অতি সুন্দর রূপ বর্ণিত হইয়াছে। অৰ্জ্জুনের প্রতি যে অতিরিক্ত পক্ষপাতিতার জন্য দ্ৰৌপদীকে মহাপ্ৰস্থানকালে পতিত হইতে হইয়াছিল, দ্রৌপদী-পত্রিকায় কবি তাহার উল্লেখ করিয়াছেন। অৰ্জ্জুন, জিতেন্দ্ৰিয় হইলেও, বহুবিবাহিত ছিলেন। দ্ৰৌপদীকে বিবাহ করিবার পরেও তিনি চিত্রাঙ্গদা, উলুপী এবং সুভদ্রাকে বিবাহ করিয়াছিলেন । বহুভাৰ্য্য স্বামীর ভাৰ্য্যান্তর-গ্ৰহণস্মৃহ নিবারণ করা দ্ৰৌপদীর সাধ্যায়ত্ত না হইলেও তঁাহার ন্যায় তেজস্বিনী মহিলার পক্ষে, মুকের ন্যায় নীরবে, স্বামীর ব্যবহার সহ করাও সম্ভবপর ছিল না । বোধ হয়, কঠোর ব্যঙ্গে তিনি স্বামীর বিবাহ-কণ্ডুয়নের প্রতিশোধ তুলিতেন। সেই জন্য আমরা দ্রৌপদী-পত্রিকায় দেখিতে পাই ; “অন্সর-বল্লভ তুমি ; নরনারী দাসী ;- তা ব’লে করে না ঘূণা, এ মিনতি পদে। স্বর্ণ অলঙ্কার যারা পরে শিরোদেশে, কণ্ঠে, হন্তে, পরে না কি রাজত চরণে ?”