পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sኳ” জীবন-চরিত । অক্ষয়কুমার দত্ত এই তিন জনের কাৰ্য্য ছাড়িয়া দেখিলে, বঙ্গের রাজনৈতিক, সামাজিক, ধৰ্ম্ম সম্বন্ধীয় এবং সাহিত্যবিষয়ক যে কোন প্ৰকার উন্নতিই হউক, প্ৰধানতঃ, হিন্দুকলেজের ছাত্রদিগেরই দ্বারা অনুষ্ঠিত DBDBDDDBD SS S BBBDBDBD DBBBD S BBDBDDLDBBBDB gDLD S DBDBD মধুসূদনের নাম, এক্ষণে, বঙ্গবাসীমাত্রেরই আদরের সামগ্ৰী হইয়াছে । ইহাদিগের দুই জনেরই প্ৰকৃতি, দোষে গুণে, হিন্দুকলেজীয় শিক্ষায় গঠিত হইয়াছিল। হিন্দু কলেজের সহিত সম্বন্ধ না থাকিলে তাহাদিগের জীবন, বোধ হয়, অন্যরূপ হইত। কাব্য কবির হৃদয়ের প্রতিবিম্বন মাত্র ; মধুসুদন নিজে যাহা ছিলেন, তাহাৰ কালো তাহাই প্ৰতিবিম্বিত হইয়াছে। সেই জন্য, কাবো হউক, বা চরিত্রে হউক, মধুসূদনকে, বুঝিতে হইলে, হিন্দু কলেজীয শিক্ষার দোষ, গুণ এবং তাৎকালিক ইংৰাজী-শিক্ষিত সমাজের অবস্থা পর্যালোচনা আবশ্যক । বঙ্গীয় সমালোচকগণ মধুসূদনের কাব্যে সে সমস্ত দোষ নির্দেশ করেন, জাতীয় ভাবের প্রতি উপেক্ষা এবং বিজাতীয় ভাবের আদি পকাই তাহাদিগের মধ্যে প্ৰধান । তাহারা বলেন, কবি রামচরিত অবলম্বন করিয়া গ্ৰন্থ ৰচনা করিয়াছেন, কিন্তু রামচন্দ্রের অপেক্ষা রক্ষস-পরিজনন্দিগেরই প্ৰতি তিনি অধিক সহানুভূতি প্ৰদৰ্শন কািরয়াছেন ; সে রামচন্দ্রের ও লক্ষ্মণের চরিত্র, আজ বহু সহস্ৰ বৎসর অবধি, সমগ্ৰ হিন্দু জাতির শ্রদ্ধা ও ভক্তি আকর্ষণ করিয়া আসিতেছে, জাতীয় ভাবের প্রতি সম্পূর্ণ উপেক্ষা প্ৰদৰ্শন করিয়া, তিনি তাহা কালিমাময় করিয়া গিয়াছেন । বাবু জ্যোতিরিন্দ্ৰনাথ ঠাকুর যথার্থটি বলিয়াছেন যে, “মূল গ্রন্থে যে সমস্ত চরিত্র উন্ন তদৰ্ণে চিত্রিত হইয়াছে, তাহাদিগকে কবি আরও উন্নতিবর্ণে চিত্রিত করুন, তাহাতে র্তাহার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে ; কিন্তু সেই মূল গ্রন্থের বর্ণিত উন্নত চরিত্রদিগকে হীন করিয়া আঁকিবার তাহার কি অধিকার আছে ?” মধুসূদনের কাবোর দোষ।