পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৫৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুরোপ-প্ৰবাস । 96. বুঝিয়া তিনি যে অপাত্রে বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছিলেন, তাহারই ফলে তাহাকে সেরূপ দুৰ্দশা ভোগ করিতে হইয়াছিল। কি অবস্থায় তিনি যুরোপযাত্ৰা করিয়াছিলেন, আমরা পূৰ্ব্ব অধ্যায়ে তাহার উল্লেখ করি।-- যাছি । যাহাদিগের উপর তিনি নিজের বৈষয়িক কাৰ্য্যের ভারাপণ করিয়া গিয়াছিলেন, তাহার স্বদেশ ত্যাগের সঙ্গে সঙ্গেই, তাহারা আপন আপন কৰ্ত্তব্যপালনে পরায়ুখ হইলেন Jy নির্দিষ্ট, মাসিক অর্থ-সাহায্যে বঞ্চিত হওয়াতে মধুসূদনের পত্নীৰ বিপদের সীমা রহিল না।) স্বামীর অসাক্ষাতে কােনরূপ ব্যবস্থা করা অসম্ভব দেখুঃক্তির্নি স্বামীর নিকট গমনই যুক্তিযুক্ত বলিয়া বিবেচনা করিলেন,এবং মধুসূদনের স্বদেশত্যাগের এক বৎসরের মধ্যে, আপনার শিশু দুইটাকে সঙ্গে লইয়া, যুরোপে স্বামীর নিকট উপস্থিত হইলুন ... অকস্মাৎ এইরূপ ব্যয়বৃদ্ধিতে মধুসূদন বিষম বিপদে পড়িলেন। সপরিবারে যুরোপে বাস একেইত সহজ নয়, তাহার উপর মধুসুদন আবার পরিমিতবায়ী ছিলেন না । সুতরাং ত্যাহার সঞ্চিত অর্থ অল্প দিনের মধ্যে নিঃশেষ হইয়া আসিল, এবং প্রয়োজনীয় বায় নির্বাহাৰ্থ অলঙ্কার, বস্ত্ৰ, গৃহসামগ্ৰী ইত্যাদি সমস্তই ক্ৰমে গবৰ্ণমেণ্ট বন্ধক-অফিসে আবদ্ধ হইল / অমিত্ৰচ্ছন্দ প্ৰবৰ্ত্তনের জন্য বাবু কালীপ্ৰসন্ন সিংহ মধুসুদনকে বর্ষে সুন্দর রৌপ্য পান-পাত্ৰ উপহার প্রদান করিয়াছিলেন, অর্থাভাবে তিনি তাহাও পৰ্যন্ত বন্ধক দিতে বাধ্য হইলেন। ভাষা শিক্ষার সুবিধা হইবে বলিয়া, এবং তাঙ্কার পত্নীর স্বাস্থ্যের জন্য, মধুসুদন ফ্রান্সের অন্তর্গত ভবসেলস্ নগবে আসিয়াছিলেন ; অর্থাভাবে ইংলণ্ডে ফিরিয়া যাইতে পারেন নাই । ভরসেলসে অবস্থানকালে তাহার দুর্দশা চরমসীমান্য উপনীত হইয়াছিল। সেখানে কোন কোন দিন সত্যই তাহাকে অনশনে দিনপাত করিতে হইত। ঋণের জন্য পাছে তাহাকে কারাগারে যাইতে হয়, এই আশঙ্কায় মধুসূদন সৰ্ব্বদা উৎকণ্ঠিত থাকিতেন। একটা দয়াবতী ফরাসী মহিলা, তাহার