পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শ অধ্যায়। শেষ জীবন-ব্যারিষ্টারী ব্যবসায়, হেক্টরবধ ও মায়াকানন । [ || 8 || ۹ بالا --۹ و سواد ] পাঁচ বৎসর কাল প্ৰবাসের পর, ১৮৬৭ খৃষ্টাব্দের মার্চ মাসে, মধুসুদন যুরোপ হইতে স্বদেশে প্ৰত্যাগমন করিলেন । মাদ্রাজ প্ৰবাসকালের ন্যায়। এবারও তিনি দীর্ঘকাল পাবে স্বদেশে প্ৰত্যাগমন করিয়াছিলেন, কিন্তু এবার তঁহার অবস্থা কতই বিভিন্ন ! মান্দ্ৰাজ হইতে প্ৰত্যাগমনের সময়ে, পিতামাতার মৃত্যুতে, এবং আত্মীয়, বন্ধুগণের ব্যবহারে, তিনি আপনাকে প্রকৃতই অনাথ বলিয়া মনে করিয়াছিলেন । নিজের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে প্ৰত্যয় থাকিলেও, তখন, তাহার। আশা প্ৰগাঢ় অন্ধকারে সমাচ্ছন্ন ছিল । বঙ্গীয় সমাজের নিকট তখন তিনি এক রূপ মৃত ছিলেন বলিলেও হয় ; দুই একজন সহৃদয় সুহৃদ ভিন্ন কেহ তখন তাহার সংবাদ রাখিতেন না । কিন্তু বিধাতার অনুকূলতায় এখন তাহার জীবনের এক নূতন দিন আরদ্ধ হইয়াছিল। এখন তিনি মেঘনাদবধ-কাবের কবি, ছয়টি য়ুরোপীয় ভাষায় সুপণ্ডিত, এবং ভারতের সর্বপ্রধান বিচারালয়ের ব্যারিষ্টার। বিদ্যা, বুদ্ধি এবং পদমৰ্য্যাদা, এখন, তাহাকে তাহার স্বদেশের গৌরবস্থল করিয়াছিল। তাহার প্রবাসকালের মধ্যে র্তাহার কাব্যসমুহের যশঃসৌরভ সমস্ত বঙ্গদেশে পরিব্যাপ্ত হইয়াছিল। কত হৃদয়, তাহার অগোচরে, তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিত, তাহার কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করিত, এবং উৎসুক ভাবে তাহার স্বদেশ-প্ৰত্যাগমন প্ৰতীক্ষা করিত । স্বদেশের এবং স্বজাতীয়গণের গৌরবস্থল ও কল্যাণভাজন হইয়া তিনি এইরূপে জন্মভূমিতে প্ৰত্যাবৃত্ত হইয়াছিলেন । ধে মহাত্মা, তাহার প্রবাসকালে যুরোপ তইতে স্বদেশে ෙම්füÑal ||