পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের ইংরাজী শিক্ষিত সম্প্রদায়ের অবস্থা । O অধিবেশনে উপস্থিত থাকিতেন। সভাস্থলেই হউক, বা বিদ্যালয়েই হউক, ডিরোজিয়োর শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য এই ছিল যে, তিনি তাহার ছাত্ৰাদিগকে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে চিন্তা করিতে বলিতেন। যাহা পুৰ্ব্বা* পর প্রচলিত হইয়া আসিতেছে, তাহাই সত্য ও সম্মানাহঁ, এবং যাহা নুতন, তাহা অসত্য ও অবজ্ঞেয়, এই ভ্ৰমাত্মক বিশ্বাস দুৰ্ব্ব করিবার জন্য তিনি প্ৰাণপণে চেষ্টা করিতেন । চিরপ্ৰচলিত সংস্কারের ও শাস্ত্রানুশাসনের পরিবর্তে যাহাতে তাহার ছাত্রের যুক্তি ও বিবেকবলে হিতাহিত নিৰ্ণয় করিতে পাবেন, তাহাই তাহার উপদেশের সারা মৰ্ম্ম ছিল । হিন্দুশাস্ত্র বা খ্ৰীষ্টীয়শাস্ত্ৰ, কোন দেশের কোন শাস্ত্ৰই, তিনি অভ্রান্ত বলিয়া মনে করিতেন না । শাস্ত্ৰানুশাসন যেখানে ব্যক্তিত্বের অথবা স্বাধীনতার ও সহজজ্ঞানের বিরোধী, সেখানে তাহার বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইবার জন্য তিনি ছাত্ৰাদিগকে উপদেশ দিতেন, এবং সেই সঙ্গে তাহার স্বসমাজের ও হিন্দুসমাজের যে সকল আচার, ব্যবহার তিনি স্বাধীনতার ও সহজ-জ্ঞানের বিরোধী বলিয়া মনে করিতেন, তাহা নির্দেশ করিয়া দিতেন । ডিরোজিয়োর শিক্ষাগুণে নব্য সম্প্রদায় এক অভিনব আলোক প্ৰাপ্ত হইলেন । র্তাহারা, একাডেমির অধিবেশনে এবং সংবাদপত্ৰেৰ স্তম্ভে, হিন্দু ধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে ঘোরতর আনেদালন আরম্ভ কবিলেন । ডিরোজিয়ের তত্ত্বাবধানে “পার্থিনন” ( Parthenon ) নামে ছাত্ৰদিগের একখানি সংবাদপত্ৰ প্ৰকাশিত হইত ; তাহাতে হিন্দুধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে এরূপ আপত্তিজনক বিষয়সকল লিখিত হইতে লাগিল যে, কলেজের কর্তৃপক্ষগণ, অবশেষে, তাহার প্রচার নিবারণের আজ্ঞা দিতে বাধ্য হইলেন । ডিরোজিয়ের শিক্ষায় যেমন অনেক প্ৰশংসনীয় গুণ ছিল, তেমনই কতকগুলি গুরুতর দোষও ছিল । তিনি ডিরোজিয়োর প্রদত্ত frr:Fjs (sjR | ছাত্রদিগের হৃদয়ে যে পরিমাণে স্বাধীনতাপ্রিয়তার উন্মেষ করিয়াছিলেন, সে পরিমাণে