পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষজীবন । VOS পরলোক গমন করিয়াছিলেন। কাহাকেও বঞ্চনা করিব, মধুসুদন, কখন, স্বপ্নেও সে কথা মনে করিতেন না । কিন্তু প্ৰবঞ্চক না হইলেও, বিষয়বুদ্ধির ও কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠার অভাবে তাহার ব্যবহার, সময়ে সময়ে, প্ৰবঞ্চকেরই ন্যায় প্রতীয়মান হইত। ঋণ-বৃদ্ধির সঙ্গে তঁহার মানসিক অশান্তি ও উদ্বেগও, ক্রমশঃ, বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল। বাল্যাবধি যে সকল কু-অভ্যাসে তিনি অভ্যস্ত হইয়াছিলেন, বয়সের সঙ্গে তাহা সংশোধিত হয় নাই, বরং ক্রমশঃ দৃঢ়বদ্ধ হইয়াছিল ; এক্ষণে তাহার বিষময় ফল তিনি ভোগ করিতে লাগিলেন । মানসিক অবসাদ ও উদ্বেগ দূর করিবার জন্য তিনি, হয়, কবিতার না হয় মদিরার আশ্রয় গ্ৰহণ করিতেন। এরূপ অবস্থায় রচিত কবিতা আর যে সেই পূর্ব প্ৰতিভার অনুরূপ হইবে, সে সম্ভাবনা ছিল না । কিন্তু তাহাতে কবিত্ব বা সৌন্দৰ্য্য না থাকুক, তাহার দুই একটী স্থল কবির তাৎকালিক মানসিক অবস্থার সুব্যক্তি সাক্ষাদান করে । ভগবতী ব্যাগেদিবীর ন্যায় কমলারও অনুগ্রহভাজন হইবেন, দুৰ্ভাগ্য কবির এই বড় আশা ছিল, কিন্তু বিধাতার প্রতিকূলতায় তাহার সে আশা পূৰ্ণ হইল না দেখিয়া তিনি, নিবাশ-হৃদয়ে, কমলাকে সম্বোধনপূর্বক, লিখিয়াছিলেন ; “ভেবেছিন্নু, মোব ভাগ্যে, হে রাম-সুন্দরি । নিবাইবে সেরোষাগ্নি, লোকে যাহ। বলে হ্রাসিতে বাণীর রূপ তব মনে জ্বলে । cङावछिन्न, श्ाग्न ! cाथि चछि उछाद श्वब्रेि ডুবাইছ, দেখিতেছি ক্ৰমে এই তরী ; অদয়ে ! অতল দুঃখসাগরের জলে * ডুবিনু, কি যশ তব হবে বঙ্গ-স্থলে ?” সুখ, দু:খ, সম্পদ, বিপদ সকল অবস্থাতেই যে তিনি বাগেদিবীর ক্ৰোড়ে বিশ্রামলাভের চেষ্টা করিতেন, তাহা আমরা তঁহার জীবনের প্ৰত্যেক অংশেই প্ৰদৰ্শন করিয়াছি । এ সমযেও তেঁাহার কবিতানু ቁሞomኸአ