পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Себу জীবন-চরিত । শেষগ্রন্থ মায়াকানন রচনা করিয়াছিলেন। মধুসুদন তখন যে অবস্থায় পতিত হইয়াছিলেন, তাহাতে র্তাহার পক্ষে ধীরতার সহিত গ্ৰন্থ-রচনা করা সম্ভবপর ছিল না ; নিজের বিষাদময় জীবনের প্রতিবিম্বপাত করিয়াই তিনি স্বরচিত গ্ৰন্থ সম্পূর্ণ করিয়াছেন। তঁহার নিজের জীবনের ন্যায় মায়াকাননও মৰ্ম্মভেদী আৰ্ত্তনাদের ও দীর্ঘনিশ্বাসের সঙ্গে সমাপ্ত হইয়াছে। তিনি মায়াকানন স্বয়ং সম্পূর্ণ করিয়া যাইতে পাবেন নাই ; তাহার অসম্বদ্ধ কতকগুলি অংশ সম্পূর্ণ করিয়াছিলেন মাত্ৰ। বঙ্গরঙ্গভূমির অধ্যক্ষগণ, সেই সকল খণ্ডিত অংশ স্বেচ্ছানুরূপ সংযোজিত করিয়া, তাহার মৃত্যুর পর, তাহা গ্ৰন্থাকারে প্রকাশ করিয়াছিলেন । মধুসুদন “স্বয়ং যে গ্ৰন্থ সম্পূর্ণ করিতে পাবেন নাই, তাহার দোষগুণ আলোচনা করিয়া কোন প্ৰকার মতামত প্ৰকাশ করা সঙ্গত হইবে না । আমরা কেবল সংক্ষেপে তাহার অবলম্বনীয় বিষয় বিবৃত করিব । সিন্ধুদেশে মায়াকানন নামে এক নিবিড় অরণ্যানী বৰ্ত্তমান ছিল, এবং তাহার অভ্যন্তরে অরণ্যের অধিষ্ঠাত্রী বনদেবীর এক পাষাণময়ী মূৰ্ত্তি প্ৰতিষ্ঠিত ছিল। মায়াকানন সম্বন্ধে সিন্ধুদেশে এইরূপ এক জনশ্রুতি প্ৰচারিত ছিল যে, “যে লগ্নে দিনমণি। কন্যারাশির সুবর্ণগৃহে প্ৰবেশ করেন, সেই সুলগ্নে যদি কোন পবিত্ৰস্বভাবা কুমারী, কি সুপবিত্ৰ, অনুঢ় যুবা ঐ দেবীর পদে পুষ্পাঞ্জলি দিয়া পূজা করেন, তবে তিনি কুমারী হইলে স্বীয় ভবিষ্যৎ পতিকে, আর পুরুষ হইলে আপনার পত্নীকে দেখিতে পান।” এই জনশ্রুতির উপর নির্ভর করিয়া অনেক বিবাহ প্ৰাৰ্থী পুরুষ ও রমণী মায়াকাননে উপস্থিত হইতেন । এক দিন সিন্ধু দেশের রাজকুমার অজয় এবং গান্ধার দেশের রাজকুমারী ইন্দুমতী, উভয়েই, আপন আপন ভবিষ্যৎ পত্নী ও পতি সন্দর্শনের প্রত্যাশায়, পরস্পরের অজ্ঞাতভাবে, মায়াকাননে প্ৰবেশ করিয়া, উভয়কে সনদর্শন করেন। কিন্তু অজয় ও ইন্দুমতীর সম্মিলন বিধাতার मकानन ।