পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wyt R জীবন-চরিতে । করিয়া, তঁহাকে সেরূপ অবস্থায়, যত দূৱ সাত্ত্বিনা-দান করা সম্ভবপর, তাহার কিছুই ক্ৰটী করেন নাই। তাহার সদ্ব্যবহারে মধুসুদন পরম পরিতোষ লাভ করিয়াছিলেন |* উত্তরপাড়ায় মধুসুদন একরূপ মৃত্যুশয্যায় শয়ান ছিলেন, বলিলেও হয় ; কিন্তু সেখানেও তাহার স্বভাবসিদ্ধ কবিতানুশীলনের বিরাম ছিল না। যে দিন একটু সুস্থ থাকিতেন, সে দিন, র্তাহার প্ৰিয় কবি মিণ্টন ও দান্তে প্ৰভৃতির গ্ৰন্থ হইতে অনর্গল কবিতা "আবৃত্তি করিয়া সকলকে পরিতৃপ্ত করিতেন ; এবং কেহ তাহাকে দেখিতে আসিলে, নিজের ভ্ৰমণ-বৃত্তান্ত বা অতীত জীবনের অভিজ্ঞতা বর্ণন করিয়া, তাহাকে আপ্যায়িত করিতেন ! মধুসূদনের শেষজীবনের বিবরণ লেখক এবং পাঠক উভয়েরই পক্ষে ক্লেশকর । এক এক দিনের ঘটনা চিন্তা করিলে মনে হয় যে, বঙ্গদেশের দীনতম ভিক্ষুকও বুঝি তাহার অপেক্ষা শান্তিতে প্ৰাণত্যাগ করে । এক দিনের একটা ঘটনা নিম্নে বিবৃত হইতেছে। মধুসূদনের উত্তরপাড়ায় অবস্থানকালে গেীরদাস বাবু সৰ্ব্বদা তাহাকে দেখিতে যাইতেন। (একদিন, তিনি তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইয়া দেখেন যে, একটি মলিন শয্যার উপর শয়ন করিয়া, মধুসুদন মুহু মুহু রক্ত বমন করিতেছেন। তাহার পত্নী হেনরিয়েটা, নিম্নে গৃহতলে পতিত হইয়া, রোগের যন্ত্রণায় আৰ্ত্তনাদ করিতেছেন। গেীরদাস বাবু হেনরিয়েটাকে মূৰ্ছিতাপ্ৰায় দেখিয়া তৎকালোচিত সাহায্য দানের জন্য, অগ্রসর হইলেন । কিন্তু निखाद्ध शंत्र ऊंत्रक স্বামীর অবস্থাই তখন হেনরিয়েটার পক্ষে অধিকতর ক্লেশকর হইয়াছিল। তিনি, অতি কাতর স্বরে, গেীরদাস বাবুকে বলিলেন ; “আমার জন্য চিন্তা নাই ; আমি মরিতে ভয় করি না ; যদি পারেন, আমার স্বামীর প্রাণরক্ষা করুন।” গৃহের এক দিকে এই দৃশ্য ! অপরদিকে একটি পাত্রে r

  • মধুসূদনের উত্তরপাড়া-প্রবাসের বিবরণ পাঠক পরিশিষ্টে দেখিতে পাইবেন।