পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vy 8 ौवन-5दिङ | দিগেব নিকট কৃতজ্ঞ , কিন্তু তঁাহাবা যদি, কোনৰূপে মধুসূদনের দাতব্যচিকিৎসালযে মৃত্যু নিবাবণ কবিতে সক্ষম হইতেন,তাহা হইলে বঙ্গসমাজ একটা গুবতির লজ্জা হইতে বক্ষা পাইত । বঙ্গদেশেব আধুনিক সময়েব সর্বশ্রেষ্ঠ কবি যে অনাথ ও ভিক্ষুকদিগেব। সঙ্গে প্ৰাণত্যাগ কবিয়াছেন, পবে, কবির স্বর্ণময প্ৰতিমূৰ্ত্তি স্থাপন কবিলেও এ কলঙ্ক মোচন হইবে না। যাহা হউক, উপাযান্তরেব অভালে, মধুসুদন দাতব্য-চিকিৎসালযে গমন কবিতে বাধ্য হইলেন । এতদিন তিনি যে যন্ত্রণ ভোগ কবিয়া আসিতেছিলেন, এইবাব তাহা চৰম সীমান্য উপনীত হইল। নিজেব সুখেব জন্য, তিনি যে, জনকজননীব প্ৰাণে বেদনা দিয, স্বধৰ্ম্ম ও স্বসমাজ পবিত্যাগ কবিযাছিলেন, দাতব্য চিকিৎসালযে আগ্ৰন্সগহণ দ্বাবা, এত দিন পবে, তাহাব সেই অপবাধেব প্ৰাযশ্চিত্ত হইল । মনুষ্য যতই যন্ত্রণাভোগ কৰুক, মৃত্যুশয্যায় শাষন কবিযা, আত্মীয, স্বজনেব মুখ দেখিতে পাইলে তাহাব যন্ত্রণাব অনেক উপশম হয় । কিন্তু আত্মীয, বন্ধুগণেব মুখ দেখা দুবে থাকুক তাহাব মৃত্যুশয্যাশাখিনী, হতভাগিনী পত্নী কি অবস্থায্য অবস্থান কবিতেছিলেন, মধুসূদনেব পক্ষে তাহাও দশন কবিবাব সম্ভাবনা ছিল না। মধুসূদনেব জীবন আদ্যোপােন্ত দুঃখেব কাহিনী বলিলে অত্যুক্তি হইবে না । কিন্তু একাপ মানসিক যন্ত্রণ তিনি জীবনে আবী কখনও ভোগ কবেন। নাই । নিদাৰুণ বোগেব মধ্যে যখন এক একবাব তাহার চৈতন্য হইতে, তখন পীডিত পত্নীব ও শিশু দুইটিীব কথা স্মৰণ হওষাতে র্তাহাব নযন অশ্রুপূর্ণ হইয! আসিত। কখনও কষ্টে হৃদযেব ভাব সংযত কবিতেন, কখনও বা বালকেৰ যন্তাষ, অৰীবিভাবে, ক্ৰন্দন কবিযা ফেলিতেন । ক্রমশঃ র্তাহাব এবং তঁাহাব পত্নীব পীডা শেষাবস্থায্য উপনীত হইল। পতিপত্নীৰ মধ্যে কে, অপবকে ফেলিযা, অগ্ৰে পাবলোক গমন করিবেন, ইহাই তখন তঁহাদিগেব। উৎকণ্ঠাব বিষয় হইল। মধুসূদন এত ক্লেশ ভোগ কবিয়াছিলেন, তথাপি বুঝি তাহাব অপবাধেব পূর্ণ প্ৰায়শ্চিত্ত হয় নাই। --তাই