পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। VR সর্বশ্রেষ্ঠ কাৰ্য্য, ইহার অন্তর্নিহিত শক্তির আবিষ্করণ । মেঘনাদবধ রচনা অপেক্ষা ইহা আমরা তাহার প্রতিভার অধিকতর পরিচায়ক ও গৌরবজনক কাৰ্য বলিয়া বিবেচনা করি। বঙ্গভাষার অভ্যন্তরে যে গুঢ় শক্তি নিহিত ছিল, গদ্যে বাবু অক্ষয়কুমার দত্তের ও বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ন্যায়, পদ্যে তিনিও তাহা আবিষ্কার করিয়াছেন । ইহঁাদিগের দুই জনের গ্রন্থাবলী অপেক্ষা মধুসূদনের গ্রন্থে তাহা বরং আরও সুন্দর রূপ পরিস্ফুট ও পৰীক্ষিত হইয়াছে । মহাবাজা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের সহিত বিতর্ক করিয়া তিনি যে অমিত্ৰচ্ছন্দ প্ৰবৰ্ত্তন করিয়াছিলেন, তাহার দ্বারা বঙ্গভাষা যে কেবলই অমিত্ৰচ্ছন্দের উপযোগিনী, একথা প্ৰতিপন্ন হয় নাই ; বঙ্গভাষা যে, যে কোনরূপ রচনার উপযোগিনী, ইহাই প্ৰমাণিত হইয়াছে। চতুৰ্দশপদী হউক, আব্ব দ্বাদশপদী হউক, অমিত্ৰচ্ছন্দ হউক, আর মিত্ৰচ্ছন্দ হউক, গীতি-কবিতা হউক, আর বীবরস-প্ৰধান কাব্যই হউক, বঙ্গভাষা কোন একটী রীতির অনুপযোগিনী, এ কথা আর এখন কাহারও বিশ্বাস নাই। প্ৰতিভাবান লেখকের হস্তে ইহা যে, যে কোনরূপ ভাব ব্যক্ত করিতে সমর্থ, মধুসূদনের প্রতিভা তাহা স্পষ্টাক্ষরে প্ৰতিপন্ন করিয়াছে। “মাতৃভাষারূপ রত্নপূর্ণ খনির” দ্বার তিনি আবিস্কার করিয়া গিয়াছেন ; যে কোন উদ্যোগী পুৰুষ এক্ষণে তাহা হইতে রত্নাহরণে সমর্থ হইবেন । বঙ্গভাষা সম্বন্ধে মধুসুদানের দ্বিতীয় কাৰ্য্য, প্ৰাচ্য এবং পাশ্চাত্য আদর্শের সন্মিলন । ভারতের ভবিষ্যৎ সাহিত্য, এক্ষণে, নিরবচ্ছিন্ন পাশ্চাত্য আদর্শে অথবা নিরবচ্ছিন্ন প্ৰাচ্য আদর্শে গঠিত হইবার আর जरुठांदना नांश् ।। टे६द्धांडी जांश्डि) ভারত-সন্তানকে Cश क्रिा ७2ाका করিয়াছে, ভারতে ইংরাজ রাজত্বের অবসান হইলেও, তাহার প্রভাব অন্তহিত হইবে না। প্ৰাচ্য এবং প্ৰতীচ্য উভয় রীতির সম্মিলনেই ভাবী ভারত-সাহিত্য গঠিত হইবে । মধুসূদনের কাব্যে ইহার সুন্দর দৃষ্টান্ত