পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऐछे°नश्झान्न । VS পরিচ্ছদ সম্বন্ধে তিনি জাতীয় ভাব বিসর্জন করিয়াছিলেন বলিয়া কেহ, কেহ ভঁাহাকে স্বদেশের প্রতি অনুরাগীশূন্য বলিয়া সন্দেহ করেন। কিন্তু বাস্তবিক তাহা নয়। আচার, ব্যবহারে বৈদেশিক রীতির অনুকরণ করিলেও তাহার হৃদয় স্বদেশপ্ৰেমে পূর্ণ ছিল। তাহার লিখিত পত্রের অনেকস্থলে তাহার স্বদেশানুরাগ পরিস্ফােট হইয়াছে । ইংলণ্ড-প্ৰত্যাগত অনেকের ন্যায় তাহারও এই ভ্ৰান্ত সংস্কার ছিল যে, যুরোপীয়দিগের সমকক্ষ হইতে হইলে, আহার, ব্যবহার প্রত্যেক বিষয়ে, তাহাদিগেরই সদৃশ হওয়া আবশ্যক । তিনি বলিতেন, “আমাদিগের পুর্বপুরুষগণ যেমন মুসলমান রাজত্বকালে আহাৰ্য্য, পবিচ্ছদ, গৃহসজ্জা প্ৰভৃতিতে মুসলমানী রীতির অনুকরণ করিয়াছিলেন, ইংরাজ-রাজত্বে আমাদিগেরও তেমনই ইংরাজী প্রথার অনুকরণ করা। কৰ্ত্তব্য ।” কেহ তাহাকে দেশীয় পরিচ্ছদ পরিধানের কথা বলিলে তিনি বলিতেন, “ধূতি, চাদর কেন, কাষ্ঠী কৌপীন যাহা বল, পরিতে রাজী আছি, কেবল সাহেবগুলাকে অৰ্দ্ধচন্দ্ৰ দিতে পারিলেই হয়।” একবার একটী সভাস্থলে, কতকগুলি লোক, র্তাহাকে অভিনন্দন করিয়া, তাহার বৈদেশিক ভাবপ্ৰিয়তার জন্য দুঃখ প্ৰকাশ করিলে মধুসুদন প্ৰত্যুত্তরে বলিয়াছিলেন ; “বন্ধুগণ ! আমার বৈদেশিক পরিচ্ছদের জন্য, আপনাদিগকে দুঃখিত হইতে হইবে না ; আমার কোট বুট যদি, কোনদিন, সাহেব হইয়াছি বলিয়া আমার বিশ্বাস জন্মাইয়া দেয়, তবে একবরি একখানি দর্পণের দিকে চাহিলেই আমার সে ভ্রম দূর হইবে ; আমার বর্ণই আমার জাতি স্মরণ করাইয়া দিবে।” আহার, ব্যবহারে সাহেবী রীতির অনুকরণ কুরিলেও, মধুসুদন সাহেবউপাসক ছিলেন না । একবার তিনি ব্যারিষ্টারী উপলক্ষে এক সবর্ডিনেট জজের আদালতে উপস্থিত হইয়াছিলেন । দেশীয় জজের নিকট উকীল মহাশয়েরা অত্যন্ত অশিষ্ট ব্যবহার করিতেছিলেন, কিন্তু জজ-সাহেবকে দেখিবা মাত্র একবারে সস্কুচিত ও তটস্ত প্ৰায় হইলেন। মধুসুদন ঠিক