পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

998 জীবন-চরিত । সদুপাদেশের অভাবে আমাদিগের দেশের কত প্ৰতিভাবান যুবক কিরূপ চরিত্রহীন ও আচার-ভ্ৰষ্ট হইতেছেন, তঁাহার জীবন হইতে আমরা তাহাও অনুমান করিতে পারি। মধুসূদনের ভয়ঙ্কর প্রায়শ্চিত্ত র্তাহাব উন্মাৰ্গগামী স্বদেশীয়গণের উপকার করিবে । বঙ্গভাষা কাহাকে লইয়া গৌরবান্বিত, বঙ্গীয় কবি দিগের মধ্যে প্ৰতিভাগুণে স্বদেশের ও স্বসমাজের মুখ কে উজ্জল করিয়াছেন, এবং গুণবান, জ্ঞানবান ও হৃদয়বান হইলেও বঙ্গীয় কোন কবির পরিণাম সৰ্ব্বাপেক্ষা শোচনীয়, এই তিন প্রশ্নেরই উল্লাবে ভবিষ্যৎবংশীয়গণ বালিবেন, “হতভাগ্য মধুসুদন ||” মধুসূদনেব নিজের সম্বন্ধে আমাদিগের বক্তব্য শেষ হইয়াছে । তাহার পত্নীর ও পুত্ৰকন্যাগণেব সম্বন্ধে এইবাব দুই একটী কথা বলিব । মান্দ্ৰাজে অবস্থান কালে মধুসূদনের যে দুইটী পুত্র ও দুইটী কন্যা হইয়াছিল, পত্নীর সঙ্গে পার্থক্যের পর তাহাদিগের সহিত তাহার। আর কোন সম্বন্ধ ছিল না । ইহাদিগের মধ্যে একটি পুত্র ও একটী কন্যা পরলোকগমন করিয়াছেন ; অবশিষ্ট পুত্ৰ কন্যা দুইটী, এখনও, মাদ্ৰাজ-প্রেসিডেন্সীতে বাস। করিতেছেন। মধুসূদনের পুত্র ম্যাক্টাভিল দত্ত * সেখানকার কোন আদালতে ওকালতী করেন । পিতার ন্যায় ইনিও ভাগ্যলক্ষ্মীর অনুগ্ৰহে বঞ্চিত । বঙ্গবাসিগণ র্তা হাঁকে স্নেহ দৃষ্টিতে দর্শন করিবেন, অনুকম্পার হস্তে গ্ৰহণ করিবেন, ম্যাক্টাভিসের ইহাই একান্ত অভিলাষ । কিন্তু র্তাহার অস্তিত্ব পৰ্য্যন্ত, যখন, বঙ্গবাসীদিগের অগোচর, তখন, আপাতত:, র্তাহার সে আশা পূর্ণ হইবার সম্ভাবনা কোথায় ? মধুসূদনের দুর্ভাগিনী পত্নী রেবেকা, ১৮৯২ খ্ৰীষ্টাব্দের জুলাই মাসে, পরলোক গমন করিয়াছেন । পত্নীৰ প্ৰতি ব্যবহারই মধুসূদনের জীবনের সর্বাপেক্ষা অপকাৰ্য্য ; কিন্তু মধুসূদনের পুত্ৰ কন্যাগণের কথা।

  • পারিবারিক কারণে ম্যাক্টাভিস, এক্ষণে, দত্তের পরিবৰ্ত্তে, ডটন উপাধি গ্ৰহণ कतमृgिछन् ।