পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার । W996 পতিপত্নীর মধ্যে কাহার দোষ অধিক, যখন তাহ অবগত হইবার উপায় নাই তখন সে সম্বন্ধে আর কোন কথা বলা নিম্প্রয়োজন । মধুসূদনের শেষজীবনের সহচারিণী ও মৃত্যু-সঙ্গিনী হেনরিয়েটা কিরূপ অবস্থায় প্ৰাণত্যাগ করিয়াছিলেন, আমরা তাহা বৰ্ণনা করিয়াছি। হেনরিয়েটার গর্ভে মধুসূদনের যে কয়টা পুত্র, কন্যা হইয়াছিল, তাহার মৃত্যুকালে, তাহাদিগের মধ্যে তিনটী জীবিত ছিল । কন্যা শৰ্ম্মিষ্টা ও জোষ্ঠ পুত্ৰ মিণ্টন পরলোক গমন করিয়াছেন ; সৰ্ব্ব কণিষ্ঠ আলবার্ট নেপোলিয়ান, এক্ষণে, অহিফেন-বিভাগে কাৰ্য্য করিতেছেন। মধুসূদনের পারিবারিক জীবন শান্তিতে অতিবাহিত হয় নাই বলিয়া আমরা তাহার বিস্তৃত আলোচনা আবশ্যক বোধ করি নাই। পাঠকবর্গেব কৌতুহল নিবারণার্থে, কেবল, তাহার কয়েকটি স্থূল ঘটনা মাত্ৰ উল্লেখ করিয়াছি । মধুসূদনের মৃত্যুর পর তাহার স্বদেশীয়গণ র্তাহার জন্য যাহা করিয়ামধুসূদনের সস্বন্ধে ভঁাহার ছিলেন, তাহার আলোচনা করিয়া, এইবার স্বদেশীয় গণের কার্য। আমরা আমাদিগের গ্ৰন্থ সম্পূর্ণ করিব। বঙ্গসাহিত্যের জন্য মধুসুদন যাহা করিয়া গিয়াছেন, তাহার স্বদেশবাসিগণ তাহার উপযুক্ত কৃতজ্ঞ তা প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন, এ কথা বলিতে পাবিলে, আমরা সুখী হাইতাম । কিন্তু ঠিায় ! সে কথা বলিবার সুযোগ কোথায় ? তবে যে দেশে বাজা রামমোহন রায়েরও স্মৃতিচিকু প্ৰতিষ্ঠিত হয় নাই, মধুসুদন সে দেশে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, এ কথা চিন্তা করিলে, মধুৰ সুন্দনের জন্য যাহা হইয়াছে, আপাততঃ, তাহাই যথেষ্ট বলিয়া মনে হয় । র্তাহার মৃত্যু-সংবাদে তাহার স্বদেশীয় সংবাদপুত্রসমূহে যে শোকপ্ৰবাহ প্রবাহিত হইয়াছিল, বঙ্গদেশের অতি অল্পমাত্ৰ সাহিত্যসেবকের মৃত্যুতে সেরূপ দেখিয়াছি। সংবাদপত্রে, প্ৰকাশ্য সভায় এবং রঙ্গভূমির মঞ্চে, প্ৰত্যেক স্থানেই তাহার স্বদেশীয়গণ র্তাহার। প্ৰতি আন্তরিক সম্মান প্ৰদৰ্শন করিয়াছিলেন । বঙ্কিমচন্দ্ৰ, হেমচন্দ্র এবং নবীনচন্দ্ৰ প্ৰভৃতি বঙ্গের সর্ব