পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। **9 Գ বাবু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী এবং বাবুৰ নরেন্দ্রনাথ সেন প্ৰভৃতি অনেক সুপণ্ডিত ও সম্রান্ত ব্যক্তি, তজ্জন্ত, সাধারণের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিয়া কবির গৌরব বন্ধিত করিয়াছিলেন । ১৮৮৮ খৃষ্টাব্দের ১লা ডিসেম্বর, ব্যারিষ্টার মনোমোহন ঘোষ মহাশয়, সাধারণের সমক্ষে, সেই সমাধিস্তম্ভ প্ৰতিষ্ঠা করিয়াছিলেন । বঙ্গের সুশিক্ষিত নরনারীগণের প্রতিনিধিস্বরূপ, বাবু প্ৰতাপচন্দ্ৰ মজুমদার, বাবু কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাক্তার রাসবিহারী ঘোষ, বাবু নরেন্দ্ৰনাথ সেন, মহামহোপাধ্যায় মহেশচন্দ্ৰ ন্যায়রত্ন, বাবু চন্দ্ৰনাথ বসু এবং কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় প্রভৃতি অনেকে, সেই সমাধিক্ষেত্রে উপস্থিত থাকিয়া, জাতীয় কৰ্ত্তব্য সম্পাদনা করিয়াছিলেন। মৃত্যুর কয়েক বৎসর পূর্বে মধুসূদন স্বয়ং তাহার যে সমাধিলিপি রচনা করিয়াছিলেন, তাহা তাহার সমাধিস্তন্তে উৎকীর্ণ হইয়াছে। মনোমোহন বাবু তাহার বক্তৃতায় যথার্থই বলিয়াছিলেন ;— “The poet has himself left behind him memorials far more precious and far more lasting than any thing that either the wealth or the skill of his admiring countrymen could secure for him. His works will be read with admiration by generations yet unborn, and his name will live so long as the Bengali language and the Bengali race will live.” বাবু প্ৰতাপচন্দ্র মজুমদার এই উপলক্ষে যাহা বলিয়াছিলেন, বঙ্গভাষানুরাগী মাত্রই তাহা অনুমোদন করিবেন এবং বঙ্গীয় নর, নারীমাত্ৰই প্রার্থনা করিবেন যে, “যেখানে কবিদিগের বৈকুণ্ঠে কবিকুলরাজ হোমার, দান্তে, মিণ্টন এবং আমাদিগের কালিদাস, ভবভূতি স্বর্ণসিংহাসনে বিরাজিত রহিয়াছেন, আমাদিগের গৌরবান্বিত প্ৰিয় কবিও সেখানে সন্মানে ও চিরশান্তিতে বিরাজিত থাকুন।” তাহার সমাধির উপর যে প্ৰস্তরময় স্মৃতিস্তম্ভ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, কালে, হয়ত, তাহা চুৰ্ণ হইবে,