পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8७ सीवन-ब्रिड । বিবেচনা করিতেন । * যে কালের ছাত্রেরা গায়ত্রী মন্ত্রের ও প্ৰণবের পরিবর্তে ইলিয়াডের শ্লোক কণ্ঠস্থ করিতেন, সে কালের কবির জীবনে ও রচিত কাবো যে জাতীয় ভাবের সঙ্গে বিজাতীয় ভাবের এরূপ সংমিশ্রণ লক্ষিত হইবে, তাহা বিচিত্র নয়। মধুসূদনের সংস্কার ভ্ৰমাত্মক কি না, তাহার বিচার নিম্প্রয়োজন। হিন্দু কলেজেব সেই একদেশব্যাপিনী শিক্ষা না পাইলে এবং প্ৰথম যৌবনে ইংরাজী সাহিত্যের সঙ্গে সংস্কৃত গ্ৰন্থ পাঠের সুযোগ পাইলে মধুসূদনের এই সকল সংস্কাৰ স্থায়ী হইত কি না সন্দেহ । ইংরাজী সাহিত্যের প্রবেশে আমরা যে যথেষ্টই উপকৃত হইয়াছি, তাহাতে, সন্দেহ নাই | কিন্তু সেই সঙ্গে ইহাও বলা আবশ্যক যে, শৈশব হইতে নিরবচ্ছিন্ন ইংরাজী সাহিত্যের অনুশীলনে, আমরা জাতীয়তা বিসর্জন দিতে বসিয়াছি। মধুসূদনের নায় আরও কত প্ৰতিভাবান পুরুষের জীবন ইহাব দৃষ্টান্ত স্থল। হিন্দুজাতির জাতীয়তা ও স্বতন্ত্র অস্তিত্ব রক্ষা করিতে হইলে কেবলই ইংৰাজী ভাষাবি অনুশীলন করিলে চলিবে না ; সেই সঙ্গে সংস্কৃত ভাষাবি ও অনুশীলন করিতে হইবে । হিন্দু কলেজীয় শিক্ষা মধুসূদনের চরিত্রগঠনে কিরূপ কাৰ্যা করিয়াছিল, পাঠক, এইবার, বোধ হয়, তাহা বুঝতে পারিয়াছেন। মধুসূদনের প্ৰকৃতি ও তাহার গ্রন্থাবলী বুঝিতে হইলে এই সকল কথাৰ আলোচনা অবশ্যক। যে সময়ে তিনি শিক্ষাপ্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন, তাহার কথা বলা শেষ হইয়াছে ; এইবার তঁহার নিজের শিক্ষার কথা বলিব ।

  • হেক্টর-বর্থের উৎসর্গপত্রে তিনি লিখিয়ছিলেন, “মহাকাব্য-রচয়িতা-কুলের মধ্যে

ইলিয়াড-রচয়িতা কবি যে সৰ্ব্বোপরি শ্ৰেষ্ঠ, ইহা সকলেই জানেন। আমাদের রামায়ণ ও মহা ভািবত রামচন্দ্রের ও পঞ্চ পাণ্ডবের জীবন চরিত মাত্র।” বাস, বাল্মীকির সম্বন্ধে যখন তাহার এইরূপ সংস্কার ছিল, তখন অন্যান্য কবিদিগের কথা বলা নিম্প্রয়োজন।