পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ পাইলাম। ঈশ্বর-লাভের অর্থও সেইরূপ । যখন ঈশ্বরকে আমি আমার আধ্যাত্মিক জীবনে সম্ভোগ করিতে পারি, তখনই তাহাকে আমার লাভ করা হইল । অনেক সময় পতি পত্নীকে বলেন, “আমি অনেক সৌভাগ্যে “তোমাকে পাইয়াছি।” এখানেও ধনো পার্জনের ন্যায় “পাইয়াছি।” কথার অর্থ, একে অন্যের হইয়াছে এবং উভয়ের প্রেম ও ইচ্ছার যোগ হইয়াছে। ঈশ্বরকে পাওয়াও সেইরূপ। তাহার সহিত প্রেম ও ইচ্ছার যোগ হওয়াই তাহাকে পাওয়া । অতএব দেখিতেছি যে, যে চায়। সেই পায়। এখন এই “চাওয়া’ এবং ‘পাওয়া’-র অর্থ কি ? কিরূপ অবস্থাতে বলিতে পারি যে, আমার হৃদয় ঈশ্বরকে চায় ? যাহারা বিষয়বাণিজ্য করে, এই যে স্বার্থপর বণিক নানা উপায়ে ধন সঞ্চয় করিবার চেষ্টা করিতেছে, তাহাকে জিজ্ঞাস কর, সে বলিবে, “হঁ, আমি ধন চাই”, কিন্তু সে যে চায়, তার চাওয়া, আর তুমি যে ব্ৰহ্মকে চাও, এই দুই চাওয়ার ভিতরে অনেক প্ৰভেদ আছে। প্ৰকৃত চাওয়ার অর্থ, আমি ধর্মই চাই, সংসারে সুখ চাই না, লোকের প্রশংসার আশা রাখি না, দূর হউক সংসারের সুখ- আগে ধর্ম চাই, তার পর অপর কিছু থাকুক আর নাই থাকুক, তাহাতে আমি কিছুমাত্ৰ দুঃখিত নই। বিষয়ী বলিবে, “আমি ধন চাইই চাই, ধন ছাড়িয়া যত ধর্ম হইতে পারে হউক।” একজন ধর্মকে শ্রেষ্ঠ অন্য সব বস্তুকে অতিরিক্তের মধ্যে ধরেন, অপর -ধনকে সর্বশ্রেষ্ঠ রাখিয়া অন্য সকলকে তাহার নিম্নে স্থান দেন । যিনি প্ৰকৃত ধামিক এবং ধর্ম লাভ করাই র্যাহার প্রাণের প্রধানতম আকাজক্ষা, তাহার। প্ৰাণে সর্বদা এই ভাব জাগরূক যে, “হে ঈশ্বর, তোমার ইচ্ছা পূর্ণ হউক আমার দ্বারা।” বিষয়ী ব্যক্তি সর্বদা বলেন যে, “আমার ইচ্ছা পূর্ণ হউক ঈশ্বরের দ্বারা”। এই দ্বিতীয় প্রকারের প্রার্থনা মানুষ GQ R