পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ অন্যায়ের উপর ন্যায়কে, অসাধুতার উপর সাধুতাকে প্রতিষ্ঠিত করিবার এবং নানাবিধ অত্যাচার দমনের জন্য চিরকালই সংগ্রাম চলিয়াছে। ধিক সেই চক্ষুকে, যে চক্ষু ঈশ্বরকে সর্বত্ৰ দেখিতে পায় না। তিনি অন্তরে BD BDDBBBJD DB DBDBD SuDDDBD DBBD DD DS SDD আছেন তাই অন্যায় অত্যাচার নিবারিত হয় এবং অসাধুতার উপরে সাধুতা স্থাপিত হয়। তিনিই মঙ্গলময় প্ৰভু হইয়া আমাদিগকে রক্ষা করেন। তিনিই প্ৰভু রূপে আমাদিগের বিবেক-বুদ্ধির উপরে প্রতিষ্ঠিত রহিয়াছেন, আমাদিগের ধর্মাধর্মবুদ্ধি তাঁহারই নিশ্বাস। ইহা দেখিয়াই প্ৰাচীন ঋষিরা বলিয়াছেন, “তিনি শিবম৷” আত্মাতে যিনি ‘সত্যম, জনসমাজে তিনি ‘শিবম”। বিবেক-বুদ্ধিতে ধর্মকে তিনি প্ৰতিষ্ঠিত রাখেন । তৎপরে জড়াজগতে ঈশ্বরকে অন্বেষণ করিয়া দেখ। এই যে যুগের পর যুগ চলিয়া যাইতেছে, মহা বিবর্তন-প্রক্রিয়ার দ্বারা বিশৃঙ্খলার ভিতরে শৃঙ্খলা, অনিয়মের মধ্যে নিয়ম ফুটিয়া উঠিয়াছে, তাহার প্রতি দৃষ্টি করিলেই আমরা দেখিতে পাই, তিনি সর্বত্র। এইরূপ জড়াজগতেও তিনিই 'সুন্দরম’। আজ এই মহামন্ত্র আমরা গ্ৰহণ করিব—“তিনি সত্যং শিবং সুন্দরং” । তিনি ‘সুন্দরাম”। এই সৌন্দর্যের বিষয় যখন চিন্তা করি, মন তখন কি বিস্ময়ে ডুবিয়া যায় না ? ব্রাহ্ম কবি বলিয়াছেন, “মহা কবি আদি কবি ছন্দে উঠে। শশী রবি” । কি সুন্দর। rhythm, চারিদিকে সংগীত, চারিদিকে কাব্য। ব্ৰহ্মাণ্ডের যে দিকে চাও কেবলই সৌন্দৰ্য, সৌন্দর্যের পর সৌন্দৰ্য। এক-একবার মনে করি, এত সৌন্দর্য ভগবান কেন সৃষ্টি করিলেন ? অনুবীক্ষণ দ্বারা হাজার হাজার প্রাণীর সৌন্দৰ্য দর্শন করিয়া একেবারে মন মোহিত হইয়া যায়, এত বৰ্ণ, এত চিত্র, কেমন সুন্দর। কখনও মনে হয় যে, বাহিরে সৌন্দর্যের প্রয়োজন রহিয়াছে, d) O R