পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ রহিয়াছেন । এই তিনটি একত্ৰ মিলিয়াছে, এক সুত্রে সকল গ্রথিত হইয়াছে। এই উদার এবং মহৎ ভাব আমরা পাইয়াছি। পূর্বে আত্মা ও দেহে, আত্মা ও জড়ে এবং জনসমাজের মধ্যে বিবাদ ছিল। খ্ৰীষ্টান ও য়িহুদীদের মতে শরীর আত্মার প্রধান শত্ৰু, ঈশ্বরবিরোধী শরীরই আত্মার উন্নতির পথে প্ৰধান প্ৰতিবন্ধক । যেন এই ধর্মবিরোধী শরীরকে নিগ্ৰহ করা এবং তাহাকে শাস্তি দেওয়াই তাহাদিগের নিকট ধর্ম। আমাদের দেশে এইরূপ আত্মা ও মানব-সমাজ —মধ্যে বিবাদ ছিল। এই জনসমাজ এবং ইহার সহিত যে সম্বন্ধ, ইহাই আনিষ্টের মূল। এই জনসমাজে বাস করি বলিয়াই সকল অনিষ্ট হয়। এইরূপ আত্মায় এবং জড়াজগতে বিরোধ। জড় জগৎকে ভালবাসিবে না। ইহা ধর্মের কার্য নয়। ধাৰ্মিক পুষ্পকে দেখিয়া আনন্দ করিবেন। না । ধামিক লোক জড়োজগৎকে কিঞ্চিৎ অবজ্ঞার চক্ষে দেখিবেন । কিন্তু এই নব ভক্তির ধর্মেতে যেমন এক দিকে দেখিতে পাই যে, হিন্দু, গ্ৰীক, য়িহুদী সকলের একত্র মিলন হইয়াছে, অপর দিকে আত্মার এবং দেহের বিবাদ ও ঘুচিয়া গিয়াছে। আবার আত্মা, জড়জগৎ এবং জনসমাজ সকলই এক । এই ভক্তির আবিষ্কার এক মহা সম্পত্তির আবিষ্কার। ইহাকে প্ৰাণে পাওয়া যায় ; ইহাতে প্ৰাণ সমৰ্পণ করা এবং ইহাকে চক্ষের নিকটে রাখা আবশ্যক। বিশেষ ভাবে ব্রাহ্মেরা যদি এই গম্ভীর এবং মহাভক্তির ধর্মকে রাখিতে পারেন, তাহা হইলেই সকল হইবে। যেমন যুদ্ধের নিশান । সৈন্যগণ যতই কোন ছত্ৰভঙ্গ হইয়া যাউক না, এই নিশান একবার দেখিলেই পুনরায় একত্ৰ হইতে পারে। এই যে উদার, মহৎ এবং আধ্যাত্মিক ধর্মের আদর্শ, ইহাই আমাদের নিশান। যতই কেন ছত্ৰভঙ্গ হইয়া যাও না, এই নিশানের দিকে আসিতে চেষ্টা কর। এই ত সকলই করিতেছি, তবুও কেন সেই S 08