পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ ভিতরে প্রবেশ করিলে আমরা কি দেখিতে পাই ? তিনি যে শুধু ভক্তির জন্যই তপস্যা করিয়াছিলেন তাহা নয়। বিমাতার বাক্যবাণে বিদ্ধ হইয়া তাহার অহমিকা আঘাতপ্ৰাপ্ত হইল, তখন তিনি বলিলেন, “অপেক্ষা করি, তপস্যা করিয়া সেই স্থান লাভ করিব, যাহা তাহারাও লাভ করিতে সমর্থ হন নাই।” নিজের কঠিন প্ৰতিজ্ঞ। রাখিবার জন্যই ধ্রুবের এই সাধন । এই আত্মগরিমা ভক্তিকে জন্মিতে দেয় না। দ্বিতীয়ত, জ্ঞানাভিমান, আপনাকে বড়ই জ্ঞানী মনে করা । “আমার চরিত্রের অনেক গুণ আছে”, এবং সেই জ্ঞানেই সর্বদা স্ফীত। এইরূপ ভাব যখন ফুটিয়া উঠে, তখন ধাৰ্মিক বলেন, “ভক্তি বহু দূরে।” তৃতীয়ত, কাহারও ভিতরে আবার ঈর্ষা গাজা মরিতে দেয় না । “সমাজে অমুক বড় পদ পাইল, আমি কেন পাইলাম না ; অমুক বেদীতে বসিতে পাইল, আমি পাইলাম না কেন?” এইরূপ ঈৰ্ষাপূর্ণ ভাব হইতে ভক্তি বহু দূরে থাকেন। চতুর্থত, বিদ্বেষ। তুমি যখন দেখিতেছি তোমার একটু সামান্য অনিষ্ট করিলে বিদ্বেষে স্থির থাকিতে পার না, তখন জানিও, ভক্তি বহু দূরে। পঞ্চমত, বাসনা, অর্থাৎ অপবিত্ৰ ভাবে পরস্পরের সহিত মিলিবার প্ৰবৃত্তি। যখন প্ৰকৃতিতে এ ভাব বিদ্যমান, ততদিন জানিবে, ভক্তি হইতে বহু দূরে রহিয়াছ। ষষ্ঠত, বিষয়াসক্তি। দশজনের ভিতর একজন হইব, ধনীদের সঙ্গে বন্ধুতায় বাস করিব। বিষয়ের দিকে মুখ এবং ঈশ্বরের দিকে পশ্চাৎ করা, তাহাকেই বলে বিষয়াসক্তি। এই বিষয়াসক্তি না দূর হইলে अख्द्रि अक्षिकाद्र छgनू ब्ा । এই ষটুচক্ৰ ভেদ করিয়া ভক্তিধামে উপনীত হইতে হয়। SVe 8 S ov)