পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাপুৰুষদিগের-বিশেষত্ব মাতা মণিকা দেবী প্ৰতি রবিবার উপাসনা হইয়া গেলে আচাৰ্যকে বলিতেন, “আমার পুত্রের জন্য প্রার্থনা করুন।” তখন র্তাহার দু-নয়ন বহিয়া পুত্র অগস্টাইনের জন্য জলধারা পড়িত। এইরূপ প্ৰতিদিন প্রার্থনা করিয়া বিরক্ত হইয়া একদিন আচাৰ্য বলিলেন, “Go thy way, woman, a child of so many tears cannot perish.” এই যে জননীর দুঃখ শোক ক্ষোভ, এই সকলের মূলে মাতৃস্নেহ। বিষয়ী এই দুঃখের কারণ খুজিয়া পায় না। রাজসিংহাসন পড়িয়া রহিল, আর শাক্যসিংহ কাদিয়া কঁাদিয়া রাস্তায় বেড়াইলেন- রোগ জর মৃত্যু হইতে কিরূপে জীবকে উদ্ধার করা যায়। এই অতিমাত্র দুঃখ দেখিয়াই মহাজনাদিগকে লোকে পাগল বলিয়াছে। দ্বিতীয়, অতি আশা । দুঃখটাকে যেরূপ লোকে অকারণ মনে করিয়াছে, এই আশাটাকেও সেইরূপ অকারণ মনে করিয়াছে । মানবে দুষ্কৃতি, সংসারা সক্তি, পাপাসক্তিই প্ৰবল ৷ হিংসা, দ্বেষ, পরশ্ৰীকান্তৱতা, ইন্দ্ৰিয়পরতন্ত্রতা ইহাই মানবমনে প্ৰবল, আশাজনক কোথাও কিছু নাই। কেমন করিয়া আশা করিবে ? বিষয়ী লোক আশা দেখিতে পারে না, মানব-সমাজে বরং নিরাশাই প্রচার করে। মানব কেবল দুৰ্গতি কি গভীরতর দুৰ্গতিতে নিমগ্ন হয়। সত্যযুগ হইতে ভ্ৰষ্ট হইয়া কলিতে আসিয়া উপস্থিত হয় । আশার কিছুই দেখিতে পায় না। বর্তমানে আমাদিগের ভিতর নিরাশার ছায়া । প্ৰাচীনের ত কথাই নাই। তাহারা বলেন, “এরূপ ঢের দেখেছি, আমরাও একবার নেচেছি, কত কি করিব ভেবেছি, কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না। এই দেশের মাটি চাচিয়া ফেলিয়া জল সেচন করিয়া যদি নূতন করিতে পার তাহা হইলে হইবে।” পককেশ বৃদ্ধের এইরূপ বলেন । আবার যুবপুরুষেরাও বৃদ্ধ হইয়াছেন, তাহারা বলেন, “কিছুতে কিছু হইবে না, বৃথা চেষ্টা S y A