পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१८भद्ध जरूiदनोभ्रडा সাধন-প্ৰণালী বাহির করিতে হইবে। তিনি মায়াবাদের এক নূতন ব্যাখ্যা করিয়া বা মায়া শব্দের এক নূতন অর্থ দিয়া এক ভাষ্য বাহির করেন। তিনি মায়া শব্দের যে অর্থ দিয়াছিলেন, সে অর্থ ঠিক নূতন নয়, কারণ তার পূর্বে এ দেশে প্ৰাচীন গ্ৰন্থসমূহের মধ্যেও সেরূপ অৰ্থ দেখা গিয়াছিল, তথাপি তাহ। অনেকটা নূতন। তিনি বলিয়াছেন, “একমেবাদ্বিতীয়ং ব্ৰহ্ম।” সগুণ ব্ৰহ্ম, তঁহা হইতে এই জগৎ উদভূত হইয়াছে এবং তঁহাকে আশ্রয় করিয়া চরাচর স্থিতি করিতেছে। তঁহাকে আশ্রয় করিলেই জীবের সদগতি । এই যে সাধনের ভাব, ইহাই প্ৰদৰ্শন করা রামমোহন রায়ের প্রধান চেষ্টা ছিল। এই যে “একমেবাদ্বিতীয়াং ব্ৰহ্ম", তাহার ভাব মানব-মনে প্ৰস্ফুটিত করাই তাহার সর্বপ্রধান বাসনা ছিল। তিনি অঙ্গুলি-নির্দেশে দেখাইয়া গিয়াছেন যে, “ব্রহ্মস্বরূপ এক অখণ্ড । তিনি সমগ্ৰ বিশ্বের প্রাণ। তিনিই এই বিশাল মানবপরিবারের পিতামাতা । মানবের সেবাই তার সেবা । ইহাই প্ৰকৃত ধৰ্ম । ইহা তোমরা প্ৰাণে অনুভব কর । ইহাকে তোমরা ভক্তির চক্ষে দর্শন কর । এই ভাব তোমরা আপনাপন হৃদয়ে অনুভব করিবার চেষ্টা কর । এই ভাব তোমরা জীবনে সাধন কর।” রামমোহন রায় এই পর্যন্ত বলিয়া গেলেন । তিনি কেবলমাত্র সংকেত করিয়া গেলেন, তিনি কেবলমাত্র ইঙ্গিতে ধমের এই মহা আদর্শ জগতকে দেখাইয়া গেলেন । অবশিষ্ট কাজ মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথের জন্য রহিল । রামমোহন রায় যাহা করিতে বাকি রাখিয়া গেলেন, মহর্ষি তার অদ্ভুত আধ্যাত্মিক প্ৰতিভা -বলে তাহা করিতে সমর্থ হইলেন। রামমোহন রায় যাহার ইঙ্গিত করিয়া গিয়াছিলেন, রামমোহন রায় যাহা কেবলমাত্র দেখাইয়া গিয়াছিলেন, মহৰ্ষি তাহা কাৰ্যে পরিণত করিলেন । তিনি বহুকালব্যাপী অনুসন্ধানের পর এই দৃঢ় বিশ্বাসে উপনীত হইলেন УVOVе