পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ এই ব্ৰাহ্মধর্ম-রূপ ডাক চলিয়া আসিয়াছে। ঐ দেখ, রামমোহন রায় সর্বপ্ৰথমে ইহাকে কঁধে করিয়াছিলেন। তৎপরে মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ইহাকে কঁধে করিয়া অনেক দূর আনিয়াছিলেন। মহৰ্ষির স্কন্ধ হইতে নামাইয়া কেশবচন্দ্র সেন ইহা কঁাধে করিয়া বহু দূর আনিয়াছিলেন। এখন আমাদের স্কন্ধে ইহা চাপিয়াছে। আরও কত লোকে ইহা কঁধে লইয়া কৃতাৰ্থ হইবে, তাহা কে বলিতে পারে ? ইহার সম্ভাবনীয়তা কত, ভবিষ্যতে ইহা কতদূর বিকাশ প্রাপ্ত হইবে, তাহা কি কেহ বলিয়া দিতে পারেন ? খবরের কাগজের জল্পনা এবং খবরের কাগজের আলোচনায় যাহার জীবনের অনুমান করে, তাহারা ইহাকে ছোট, সংকীর্ণ ভাবে দেখিতে পারে। কিন্তু আমি বলিতেছি, ইহার জীবনী-শক্তি মহতী । ইহা ভবিষ্যৎ জগতে কি পরিবর্তন আনিবে, তাহ কেহ জানে না। সংবাদপত্রের উৎখানের সঙ্গে যাহাদের আশা উখিত হয়, এবং সংবাদপত্রের পতনের সঙ্গে যাহাদের আশারও পতন হয়, তাহারা ইহাকে ছোট ভাবিবেই। তাহারা বলিবে, “ঐ তোমরা গুটিকতক লোক টমটম, করছ, কেউ তোমাদের মানে না, তোমরা আবার জগতের ধর্মভাবকে বদলাইয়া দিবে কিরূপে ?” স্থূলদশী লোকে ইহা বলিতে পারে। কিন্তু ইহার স্বরূপ কি, ইহার শক্তি কত, তাহা তাহারা জানে না । ৰেমন মনুস্যজীবনের মঞ্জু সম্ভাবনীয়তা ক্ষুদ্র ভ্রািণদেহে লুক্কায়িত থাকে, যেমন বটবৃক্ষের মহা সম্ভাবনীয়তা ক্ষুদ্র বীজের মধ্যে গুপ্তভাবে থাকে, তেমনি এই ব্ৰাহ্মধর্মের মহা সম্ভাবনীয়তা বর্তমানের এই ক্ষুদ্র কোষে প্ৰচ্ছন্ন রহিয়াছে। ইহার জীবনী-শক্তি যাহ ফুটিবেই। ভবিষ্যতে ইহা বিকশিত হইবেই হইবে । যীশুর ধর্ম জগতে যে মহা পরিবর্তন আনয়ন করিয়াছে, তাহা কি জন্য ? কারণ অনুসন্ধান করিলে দেখি, গুটিকতক লোক, তাহাদেৱ SVV