পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ অনেকবার শুনা গিয়েছে। এ জগতে অনেকবার এমন হয়েছে যে, ঈশ্বরের যে মহিমার ভাব, র্তার যে গৌরবান্বিত ব্ৰহ্মভাব তাই শুধু দেখে সাধুৱা সন্তুষ্ট হন নাই। অথবা মানব-সমাজে, মানবের কার্যকলাপে এবং এই সৃষ্টিতে র্তার অস্তিত্ব মানিয়াই সাধুরা পরিতৃপ্ত হন নাই। প্রত্যেক অন্তরে, প্ৰত্যেক হৃদয়ে তার শক্তির কার্য দেখবার জন্যে সাধুরা ব্যস্ত হয়েছেন। তত্ত্বজ্ঞানের দিক দিয়ে ঈশ্বরের যে প্ৰকাশ দেখা যায়, তার ভিতর দিয়ে তার যে ভাব পাওয়া যায়, শুধু তাই পেয়ে সাধুদের মন পরিতৃপ্ত থাকে নাই ; মানবের কাৰ্যে, মানবের ব্যবহারে, মানবের চরিত্রে তার লীলা দেখবার জন্য তঁরা ব্যস্ত হয়েছিলেন । আমাদের দেশের যে বেদান্ত বা অদ্বৈতবাদ তা ঈশ্বরকে মানব-হৃদয় হতে দূরে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেছে। তার মহিমার যে অনন্তভাব তাই তাতে দেখা হয়েছে, তার যে নিগুৰ্ণভাব, র্তার যে ব্ৰহ্মভাব তাই তারা ব্যক্তি করবার চেষ্টা করেছেন । ঈশ্বরকে আজ পর্যন্ত দুই ভাবে দেখা হয়েছে- তার ঈশ্বরভাব ও তার ব্ৰহ্মভাব। এই সৃষ্টিতে র্তার যে প্ৰকাশ, এখানে তঁরা যে অভিব্যক্তি, সে তার একরকম অভিব্যক্তি । যেমন কাব্যে কবির অভিব্যক্তি। রামায়ণে বাল্মীকির অভিব্যক্তি, বাল্মীকি ফুটে ‘রামায়ণ’ হয়েছে। মিলটন ফুটে “প্যারাডাইস লস্ট’ হয়েছে। “প্যারাডাইস লস্ট’-এ মিলটনের যেমন অভিব্যক্তি, তেমনি এর্ক ভাবে বলা যায়, এই জগতে, এই স্বষ্টিতে ঈশ্বরের অভিব্যক্তি। কিংবা আর-একটি দৃষ্টান্ত দেওয়া যেতে পারে। কোনও সুন্দর চিত্রে যেমন চিত্রকারের অভিব্যক্তি। একখানি সুন্দর চিত্র দেখে। যেমন বলা যায় যে, তাতে যে সৌন্দৰ্য ঢালা হয়েছে সে সৌন্দৰ্য চিত্রকরের ; যে সৌন্দৰ্য চিত্রকরের মনের মধ্যে ছিল, তাই তুলি ধ’রে বাহিরে এনে তবে ঐ ছবিখানা হয়েছে ; এ যেমন সত্য, তেমনি » (t •