পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ দাড়াইতে পারিতেছে না । পরমার্থের ছিটাফোটাও যেন আর রক্ষা করা যাইতেছে না। যেমন বড় মানুষের বাড়িতে লক্ষ্মীর আড়ী বা খুচি “থাকে- একটা বড় ধামা, গায়ে দুই, চারিটিা চন্দনের ফোটা, ভিতরে ধামা বা খুচি পোৱা মোহর, তাকে বলে লক্ষ্মীর আভী- তেমনি ভোগবিলাসের, ধনসম্পদের আড়ম্বরেব উপরে একটু পরমার্থের ছিটাফোটাও “যদি থাকিত তাহা হইলেও হইত ; কিন্তু তাহাও থাকিতেছে না। কেবল ভোগ, ভোগ, ভোগ। ঈশ্বর পিছাইয়া পড়িতেছেন। তিনি প্ৰবেশের পথ পাইতেছেন না । দ্বিতীয় শ্রেণীর লোকেরা বিষয় এবং পরমার্থ এই দুইকেই এক সঙ্গে রক্ষা করিতে চান, কিন্তু তাহ পরমার্থকে বিষয়ের অধীন করিয়া । অর্থাৎ ধর্ম ততক্ষণ, পরমার্থ-চিন্তা ততক্ষণ, যতক্ষণ বৈষয়িক কোনও ক্ষতি না হয় ; পরমার্থ-চিন্তা ততক্ষণ, যতক্ষণ তাহ বিষয়ের অনুকূলে যায়। আদালতে মামলা বাধিয়াছে, যদি দেখা যায় দুইটা মিথ্যা কথা না বলিলে আমার বৈষয়িক ক্ষতির সম্ভাবনা, তবে তাহাতেই আমি রাজি আছি । ধর্ম যতক্ষণ বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে যায় ততক্ষণ আমি ধর্মের অধীনতা স্বীকার করিতে পারি ; নতুবা ধর্ম যদি বিষয়কে বাধা দেয়, ধর্ম যদি বিষয়ের প্রতিকূলে যায়, ধর্ম যদি তাহার প্রতিবন্ধক হয়, তবে আর আমি তাহাতে রাজি নই। এইবাপে দেখা যায়, অনেক লোক ধর্ম ও বিষয় এই দুইকে একত্র রক্ষা করিতে চেষ্টা করেন ; ধর্মকে তঁাহারা বিষয়ের অধীন করিয়া লইতে চান । তৃতীয় এক শ্রেণীর লোক আছেন, তাহারা মনে করেন, ধর্ম অগ্রে, বিষয় তাহার অধীন ; বিষয়কে তঁাহারা ধর্মের বা পরমার্থের অধীন -कब्रिग्रा व्श्ड biन । উনবিংশ শতাব্দীতে ব্ৰাহ্মসমাজ কি কাৰ্য করিতে জগতে So