পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্তমান যুগ ও পারমার্থিকতা সেই জিনিসের জন্য আমাদের অপেক্ষা করিতে হইবে, সেই জিনিস আমাদের প্রাণে পেতে হবে, সেই জিনিসের জন্যে আমাদের ব্যাকুল অন্তরে অপেক্ষা করতে হবে । ধর্মকে যদি ধরিতে হয় তবে এমনি শক্ত ক’রেই ধরিতে হইবে। এর রাস্তা সোজা কিন্তু সাধন বড় কঠিন। মহর্ষি নিজে বলিয়াছেন, “আমি কোনও গুরুর কাছে ধর্ম পাই নাই, কোনও শাস্ত্ৰেতেও পাই নাই।” কি ব্যাকুলতা নিয়ে তিনি ধর্মসাধন করিয়াছিলেন, কি একটা দৃঢ়তা নিয়ে তিনি ডুবেছিলেন, আর কোনও দিকে তঁর দৃষ্টি ছিল না। তেমনি করিয়া দৃঢ় হইয়া, তেমনি করিয়া ব্যাকুল হইয়া আমাদিগকে ধর্মকে ধরিতে হইবে, আমাদের ধর্মকে খাটি জিনিস করিয়া তুলিতে হইবে। এমন করিতে হইবে, যাহা না হইলে নয়, যাহা না হইলে আমাদের চলে না। মুখে ধর্মের কথা বলিলে আমাদের কি হইবে ? গল টিপলে যে আর তার সন্ধান পাওয়া যায় না। প্ৰাণ দিয়ে একে আমাদের ধরিতে হইবে, মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ যেমন করিয়া ধরিয়াছিলেন তেমনি করিয়া আমাদিগকে ধরিতে হইবে। এই জিনিস আমাদের আগে, তার পর আর সব, তার পর আর সমুদায়। এমনি করিয়া যাহাকে ধরিতে না পারি, এমনি করিয়া যার হাতে প্ৰাণ দিতে না পারি, তার আবার দাম কি ? সংসারে যেটা সবচেয়ে মানুষের দরকারি, যেটা সবচেয়ে কাজে লাগে, যেটাতে সবচেয়ে অধিক আয় হয়, সেটাকে কি মানুষ সর্বাগ্রে রাখে। না ? সেটাকে সর্বোপরি স্থাপন ক’রে তার পরে কি আর সব রাখে না ? মনে কর, যেন একটা পরিবার, সেই পরিবারে কোনও এক ব্যক্তি, একজন পূর্বপুরুষ, একটা ঔষধ পেয়েছিলেন, স্বপ্নেতে যেন একটা ঔষধ পেয়েছিলেন ; সেই ঔষধটাতে তাদের ভারি উপকার হয়, মাসে আড়াই শত কি তিন শত টাকা ক’রে তাতে আয় হয়। সেই ঔষধটা তাদের সব কাজে Sbዎ 8