পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতীয় সাধনা বলিয়া গিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন, “তস্মিন প্রতিস্তস্য প্রিয়কাৰ্যসাধনঞ্চ তদুপাসনমেব”, তিঁাহাকে প্রীতি করা ও তঁাহার প্ৰিয় কাৰ্য সাধন করাই তঁাহার উপাসনা। ব্ৰাহ্মসমাজ শিক্ষা দিয়াছেন যে, ধর্মের ক্ষেত্র সমাজে । সমাজ-মধ্যে যাহাতে পরমেশ্বরের উপাসন প্ৰতিষ্ঠিত হয় তাহার চেষ্টা কর, মানবের সেবা কর, পৃথিবীর পাপতাপ দূর কর, ভগবদ্যুভক্তি বৃদ্ধি কর, তাহার সেবা কর, তার আশীৰ্বাদ মস্তকে ধারণ কর, নরনারীর যাহাতে কল্যাণ হয় তাহার উপায় বিধান কর । ধর্মের সমাজ-বিমুখত ব্ৰাহ্মসমাজ নষ্ট করিবার প্রয়াস পাইতেছেন । তৃতীয়ত, নিয়তি। এই নিয়তির পাশ ছেদন ক’রবার ভারও ব্ৰাহ্মসমাজ লইয়াছেন। ব্ৰাহ্মসমাজ বলিয়াছেন, “পাপকারী পাপোভবতি”, যে পাপ করে, সে পাপই হয়। তুমি যদি আপনার শক্তি-সকলের বিকাশ না কর, তুমি যদি আপনাকে অধম করিয়া রাখ, তবে তুমি ঈশ্বরের কাছে দায়ী । তিনি তোমাকে যে শক্তি ও সুবিধা দিয়াছেন, তাহার ব্যবহার করিতে তুমি তাহার চরণে দায়ী। যদি তুমি না করি, তুমি যদি আপনাকে ছোট কর, তুমি যদি স্বার্থপর হয়ে আপনাকে ক্ষুদ্র কর, তুমি যদি আপনার শক্তি-সকলকে নষ্ট কর, তবে তুমি ঈশ্বরের কাছে অপরাধী । তুমি আপনার শক্তি-সকলের যথোপযুক্ত ব্যবহার করিতে ঈশ্বরের কাছে দায়ী, এই ভাব ব্ৰাহ্মসমাজ শিক্ষা দিয়াছেন । এই মানবাত্মার দায়িত্বজ্ঞান, যাহার অভাবে ধর্মকর্ম, রীতিনীতি, আইন-আদালত কিছুই থাকে না, ইহা এদেশীয় প্ৰজাসাধারণের চিত্তকে কঠিন নিয়তি-পাশ হইতে মুক্ত করিবে। তবে বলি, পরপদতলে দলিত হয়ে কে আছ, নানা প্ৰকার শক্তির সংঘর্ষণে আপনাকে ক্ষুদ্র জেনে হীন হয়ে কে আছ ? শোন, তোমাদের কাছে ব্ৰাহ্মসমাজ এই নৃতন সমাচার আনিয়াছেন SS