পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ অপ্রধান এবং একটি প্রধান থাকবে। নতুবা রোজ রোজ কত জ্ঞানের বিষয়, কত নূতন তত্ত্ব, কত নূতন বই প্ৰকাশিত হচ্ছে ; লক্ষ্য যদি স্থির না থাকে। তবে তোমাকে “বাশবনে ডোম কানা” হয়ে ঘুরতে হবে, জ্ঞানে গভীরতা লাভ হবে না। ধর্ম সম্বন্ধেও তেমনি। কি বিচিত্ৰ অগণ্য মতামত সকলের সম্মুখে উপস্থিত । কত বিচিত্র ধর্মমত, ধর্মতত্ত্ব, ধর্মশাস্ত্ৰ সকলের হাতের কাছে, চোখের সম্মুখে উপস্থিত ।। কত ধৰ্মসম্প্রদায়, কত ধর্মানুষ্ঠান সকলের সম্মুখে বর্তমান। খ্ৰীষ্টীয় ধর্মেই দুই শতের অধিক সম্প্রদায় আছে। ভারতে হিন্দুধর্মের যে কত শত সম্প্রদায় আছে তা জানি না। বর্তমান সময়ে নূতন নূতন চিন্তার দ্বার খুলে গিয়েছে। নব নব ধৰ্মভাব ও চিন্তা DD D B KDDSDBD TLBD BDBDBDB DBB0SS DDDD BLBK BDBD ধর্ম- শাস্ত্ৰ ও মত নিয়ে গ্ৰহণ করাবার জন্য সকলের দ্বারে উপস্থিত । এ সময়ে সে সত্যের উপর চোখ না রাখতে পারে, সত্যে নির্ভর এবং সত্যে সুদৃঢ় না থাকতে পারে, সে “বাশবনে ডোম কানা” হয়। ধর্ম চিনেছ! হিন্দু, বৌদ্ধ, থিওসফিস্ট, আৰ্যসমাজ প্রভৃতি তোমার সমক্ষে স্ব স্ব ধর্মমত নিয়ে উপস্থিত । যে চোখে ও দেখে বেড়াবে ধর্ম তার জন্য নয়। ধর্ম দেখতে হয়, পথ খুঁজতে হয়, সত্য ব’লে যা বোঝা যায় তাতে সুদৃঢ় থাকতে হয়, ঐখানে “বাশবনে ডোম কানা” হলে ୪୨୦ଫି ନା | মানুষের জীবনে একটা লক্ষ্য এবং আর সব উপলক্ষ্য রাখতে হয় । ধর্মপথে যদি দাড়াবে, তবে দৃঢ় ভাবে তাকে ধরা চাই, আর অন্য রাস্তা নাই। ভগবান জড়রাজ্যে সর্বত্র ব্যক্ত হয়ে রয়েছেন, তার শক্তি সৌরজগতে সমস্ত বিশ্বে ব্যক্ত হয়ে রয়েছে, তার শক্তি ও জ্ঞান -লীলা মানবাত্মাতে ও মানব-সমাজের বিবর্তনে, সকলে এই কথাই প্ৰকাশ