পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बदबूशद शर्भ পাষণ করিতেছেন, তারা বেশি ক’রে ঘরের ভাত খাবেন। আমি এখানে বসিয়া আছি ইহা যেমন সত্য, রজনীর অন্ধকারের পর আলোক আসিয়া এই ঘরকে উদভাসিত করিয়াছে ইহা যেমন সত্য, আমার সম্মুখে । এতগুলি লোক দেখিতে পাইতেছি। ইহা যেমন সত্য, তেমনি ইহাও সত্য যে, জগতের উদ্ধারের জন্য, মানবের কল্যাণের জন্য পূর্ণ পরাৎপর সচ্চিদানন্দ পরব্রহ্মের উপাসনা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। এই দিনে সেই পরব্রহ্মের উপাসনার জন্য মন্দির প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। তাই আজ বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ দিবার দিন। এই ধর্মবিধান কেন ভারতবর্ষে আসিল ? তার কারণ আমার বোধ হয় এই যে, ধর্ম বিষয়ে ভারতবর্ষ চিরকাল উদার। কেহ কেহ মনে করিতে পারেন, কোথায় ? যেখানে এত বিরাগ, এত বিদ্বেয, এত বিরুদ্ধ ভাব, সেখানে উদারতা কোথায় ? কিন্তু বাস্তবিক তা নয়। ধর্ম বিষয়ে পাশ্চাত্য দেশে খ্ৰীষ্টানেরা ভারী অনুদার। ভারতে নানা ধর্ম প্রচার ও ব্যাপ্ত হইয়াছে। এক ধর্মের পাশেই ঠিক তার বিপরীত অন্য ধর্ম প্ৰচারিত হইয়াছে। যদি এই সকলের বিবরণ পাইতে চান তবে প’ড়ে দেখুন। একবার অক্ষয়কুমার দত্তের ‘ভারতবর্ষীয় উপাসকসম্প্রদায়” । যাহা হউক, বুঝি বা এই উদারতার জন্যই জগদীশ্বর ভারতবর্ষে এই ধর্মের অভু্যখান করাইয়াছেন। ইহা নিশ্চিত, সুনিশ্চিত, অতি নিশ্চিত, অতীব নিশ্চিত, অত্যাতি নিশ্চিত যে, জগতের কর্তা, বিধাতা, আশ্রয় ও পালক সচ্চিদানন্দ পরমপুরুষ তার পূজা সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত করিবেন। আমাদের বাহিক রীতি ও প্রণালীর প্রভেদ কিংবা ভুল থাকিতে পারে, কিন্তু তাঁর পূজা যে সকল দেশে প্রতিষ্ঠিত হইবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই। ইহার ষে আয়োজন হইতেছে তাহা আমেরিকা ও ইংলেণ্ডের ভক্ত মনীষীদিগের গ্রন্থাদি পাঠ করিলেই বুঝিতে পারা যায়। তাকে ধন্যবাদ যে, তিনি, ề Cò R7)