পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধম সমাজের জীবনী-শক্তি যেখানে জীবন সেইখানেই যোগ ৷ যতক্ষণ প্ৰাণী জীবিত আছে ততক্ষণ তাহার দেহের অঙ্গপ্ৰত্যঙ্গের মধ্যে কি সুন্দর আত্মীয়তা। পাখানি হাতখানি হইতে কত দূরে আছে, সে তাহার কিছু কাজ করে না, “কিন্তু হাতখানিকে কাটিয়া দেখ, পা-খানিরও মহা অসুখ উৎপন্ন হইবে। সে আর ভাল করিয়া চলিতে চাহিবে না, চলিয়া আরাম পাইবে না । পা বলিবে, আমার ভাই হাত কাটা গিয়াছে, আমার আর কিছুই ভাল লাগিতেছে না। এইরূপ কর্ণের পীড়া হইলে চক্ষু সুন্দর বস্তু দেখিতে চায় না, দেখিয়া সুখী হয় না । দন্তের যাতনা হইলে তাহার প্রতিবেশী রসনা আর মধুর দ্রব্য আম্বাদন করিয়া সুখী হয় না। কি আশ্চর্য আত্মীয়তা ! কি আশ্চর্য সমদু:খসুখতা ! কিন্তু জীবনটি একবার যাউক, সেই সুস্থ দেহ পূতিগন্ধময় হইবে, তখন পদ দেহ হইতে খসিয়া পড়িবে, আর হস্তের সহিত এক দেহে থাকিতে চাহিবে না, কৰ্ণ গলিত হইয়া পতিত হইবে, চক্ষু তাহা গ্ৰাহও করিবে না। যেখানেই মৃত্যু সেখানেই যোগের বিচ্ছেদ । কেবল জীবদেহে নহে, উদ্ভিদরাজ্যে ও যতক্ষণ জীবন ততক্ষণ যোগ । পেয়াজটি যতদিন জীবিত, তাহার দলগুলিকে একটি হইতে অপরটিকে বিচ্ছিন্ন করিয়া লওয়া কিরূপ দুষ্কর। ; কিন্তু তাহ শুষ্ক হউক, দলগুলি আপনিই খসিয়া যাইবে, ধরিবামাত্র একটি অপরটি হইতে স্বতন্ত্র হইবে । অতএব যেখানেই জীবন সেখানেই CR জীবনের দ্বিতীয় লক্ষণ, যতক্ষণ জীবন ততক্ষণ সৌন্দৰ্য । জীবিত মনুষ্য যতই কদাকার হউক না কেন, তাহার একপ্রকার সৌন্দৰ্য আছে, মৃতের সঙ্গে তুলনা করিলে এ কথা বুঝিতে পারা যায়। জীবিত মানবের 89