পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ একতা দৃষ্ট হয়। এ বিষয়ে পরলোকগত কেশবচন্দ্ৰ সেন মহাশয় একবার একটি দৃষ্টান্ত প্ৰদৰ্শন করিয়াছিলেন। তিনি বলিয়াছিলেন যে, ঐক্যতান বাদমে যখন নানা বাদ্যযন্ত্র একত্র হইয়া বাজে, তখন যেমন প্ৰত্যেক যন্ত্র স্বতন্ত্র সুরে বাজে অথচ শুনিতে বোধ হয় যেন একখানি যন্ত্রই বাজিতেছে, তেমনি আমাদের দশজনের হৃদয়ের সুর ঈশ্বর-প্ৰেমে মিলিত হইয়া এক সুরের ন্যায় তাহারই চরণপ্রান্তে পৌছিবে । ইহা অপেক্ষা যোগের সুন্দর দৃষ্টান্ত আর শুনি নাই। ব্যক্তিগত পার্থক্য ঘুচাইয়া যে যোগ তাহা সম্ভবপর নহে এবং তাহ প্ৰাৰ্থনীয় নহে ; প্রেম ও লক্ষ্য-গীত যে যোগ, তাহাই প্ৰাৰ্থনীয় ও তাহাই কল্যাণজনক । ব্ৰহ্মশক্তির অধিষ্ঠানে যেমন লক্ষ্য ও প্ৰেম। —গত যোগ, সেইরূপ কাৰ্যক্ষেত্রেও অবিবাদ । জীবিত জীবদেহে যেমন অঙ্গপ্ৰত্যঙ্গ এক অপরকে তাহার কাজ করিতে বলে না, সেইরূপ ব্ৰহ্মশক্তি দ্বারা পরিচালিত সমাজেও জ্ঞানী, ভাবুক ও কর্মীদিগের মধ্যে বিবাদ থাকে না। জীবনের তৃতীয় লক্ষণ সৌন্দর্য, কিন্তু ধৰ্মসমাজের সৌন্দর্য কি ? ধৰ্মসমাজের কোন ভাব দেখিয়া জগৎ-বাসীর মন আকৃষ্ট হয় ? বিশ্বাস, বৈরাগ্য, আত্মসংযম প্রভৃতিই ধৰ্মসমাজের মুখশ্ৰীর শোভা । যে পরিমাণে বৈরাগ্য, আত্মসংযম ও পবিত্রতার লক্ষণসকল ধর্মসমাজের মধ্যে দৃষ্ট হয়, ততই বুঝিতে পারা যায় যে, ব্ৰহ্মশক্তি তথায় কার্য করিতেছে। সর্বশেষে প্রশ্ন এই, কি উপায় অবলম্বন করিলে ধর্মসমাজ-মধ্যে ব্ৰহ্মশক্তি অবতীর্ণ হয় ? তাহার আবাহনের মন্ত্র কি ? ইতিহাসকে জিজ্ঞাসা করিলে কি ইহার কোনও উত্তর প্রাপ্ত হওয়া যায় ? খ্ৰীষ্টধর্ম যে আপনার জীবনী-শক্তির পরিচয় দিয়াছে, তাহাতে আর সন্দেহ নাই। এ ধর্ম যখন প্ৰথমে প্ৰচারিত হইল, তখন দরিদ্র সহায়সম্বলহীন ব্যক্তিদের سرط8