পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্মসমাজের জীবনী-শক্তি দ্বারাই প্রচারিত হইল, কিন্তু অত্যািল্লকাল মধ্যেই ইহাকে দুইটি প্রবল শক্তির সহিত সংগ্রামে প্ৰবৃত্ত হইতে হইল। প্ৰথম, তদানীন্তন রোমীয় সভ্যতা ; দ্বিতীয়, গ্রীকদেশের পাণ্ডিত্য। এই দুইটি দুই প্রাচীরের ন্যায় সেই নবোদিত ধর্মের পথে দণ্ডায়মান হইল। রোমকগণ ইহাকে যে কেবল ঘূণার চক্ষে দেখিতেন তাহা নহে, পদ দ্বারা দলন করিবারও চেষ্টা করিতেন। গ্ৰীক পাণ্ডিত্যাভিমানী ব্যক্তিগণ ইহাকে অজ্ঞের জল্পনা বলিয়া উড়াইয়া দিতেন। কিন্তু চরমে তাহাদিগকে ইহারই নিকটে মস্তক অবনত করিতে হইল । এত বড় শক্তি কোথা হইতে আসিল ? কারণানুসন্ধানে প্ৰবৃত্ত হইলে প্ৰথমে দেখা যায়, যীশুর প্রথম শিষ্যগণ র্তাহার মৃত্যুর পর আপনাদের বুদ্ধি বা বলের উপর নির্ভর না করিয়া দিবারাত্রি ঈশ্বরের চরণে পড়িয়া প্রার্থনা করিতে লাগিলেন এবং আপনাদের মধ্যে এই নিয়ম স্থাপন করিলেন যে, যে কেহ তাহদের মণ্ডলীতে প্ৰবেশোচ্ছ হইবে, তাহাকে সর্বস্ব বিক্রয় করিয়া সেই ধন তাহদের সাধারণ ধনগারে দিতে হইবে। এই ঘটনা হইতেই বুঝা যায়, যীশুর আদিম শিষ্যগণ কিরূপ নিঃস্বর্থতার অগ্নিতে উদ্দীপ্ত ছিলেন । র্তাহাদের মণ্ডলী-সংক্রান্ত আর-একটি ঘটনা আছে, তাহা হইতেও अशूजा উপদেশ প্ৰাপ্ত হওয়া যায় । তাহদের মণ্ডলী যখন <sfTCTS লাগিল, তখন প্ৰথমে যীশুর দ্বাদশজন প্রেরিত শিষ্যই তাহদের সর্বপ্রকার পরিচর্যা করিতেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই অভিযোগ ও অসন্তোষের ধ্বনি শ্রত হইতে লাগিল । গ্ৰীক দেশবাসী য়িহুদী শিষ্যগণ বলিতে লাগিল যে, তঁহাদের বিধবাদিগের প্রতি প্রেরিতদিগের যথেষ্ট মনোযোগ নাই । ইহা শুনিয়া প্রেরিতগণ ক্ৰোধে উদ্দীপ্ত হইলেন না, তৎক্ষণাৎ মণ্ডলীর সকল লোককে সমবেত করিয়া কহিলেন, 8 8.